বর্তমানে প্রতারনা করে অর্থ উপার্জন এর প্রবনতা অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে এবং মানুষ নানা উপায় খুজে নিচ্ছে মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের অর্থ সর্বস্ব হাতিয়ে নিতে। প্রায় সব জায়গাতেই এই ধরনের প্রতারক চক্র বিদ্যমান রয়েছে যারা বিপদে ফেলছে সাধারন মানুষদের। এবার এমনই এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
কখনো বড় সরকারি কর্মকর্তা, কখনো রাষ্ট্রপতির মেয়ের বান্ধবী; এভাবে মিথ্যা পরিচয়ে জনগণের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। তার বহুমুখী প্রতারণার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামের বহু মানুষ। এভাবে বেশ কিছু মামলার আসামি মমতাজ বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। কিন্তু এবারও রক্ষা পাননি তিনি।
সোমবার নগরীর আকবরশাহ থানার নন্দন আবাসিক এলাকায় একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার ডিসি (বন্দর) মোহাম্মদ আলী হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, মমতাজ নিজেকে কখনো বাংলাদেশ বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো পিডিবি পরিচয় দিতেন। সরকারি চাকরি বা গ্যাস-বিদ্যুতের লাইনসহ যেকোনো সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তিনি রাষ্ট্রপতির মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভুয়া গল্প বলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সুবিধা নিতেন।
ডিসি মোহাম্মদ আলী হুসেন বলেন, মমতাজ হতাহতদের এয়ারম্যানের ইউনিফর্ম দিতেন। নিয়োগপত্রও দিয়েছেন। ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বলে অনেক সময় বিমানে করে ঢাকায় নিয়ে আসত।
ডিসি আরও বলেন, মমতাজ মিষ্টি কথা বলে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করতেন। এরপর চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। তিনি নিজেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন পরিচয়পত্র তৈরি করতেন। উচ্চ বেতনের চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি এসব কার্ড দিতেন। প্রতারণার কথা স্বীকার করা ব্যক্তিরা তাকে তিন থেকে ২১ লাখ টাকা দেয়। ২০১৮ সালেও, মমতাজকে একটি প্রতারণার মামলায় বন্দর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে আবার এ কাজে যুক্ত হন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় দেখা যায় নানাভাবে প্রতারক চক্র মানুষকে বোকা বানাতে চায় এবং অনেক সময় দেখা যায় মানুষ না বুঝে তাদের ফাদে পা দিয়ে নিজেদের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসে। তবে এই প্রতারকরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়।