রাজধানীর উত্তরায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
তাদের একজন পুলিশের এএসআই। তদন্তে জড়িত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওই এসআই-এর নেতৃত্বে আরেক উপ-পরিদর্শক ও একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে সোনা ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন এএসআই গিয়াস উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন (লিটন), গোলাম সারোয়ার (৪৯), আনিস মোল্লা (৩০), সুজন চন্দ্র দাস (২৯) ও আমির। এদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন ও আমির ছাড়া বাকি চারজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে। ধৃতের নাম গৌরাঙ্গ দত্ত। গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে সোনালী মার্কেটে শিল্পী জুয়েলার্স নামে তার একটি দোকান রয়েছে। ঘটনার আগের দিন (১৩ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে দোকানের স্বর্ণ (প্রায় দুই কোটি টাকা) গলিয়ে উত্তরার বাড়িতে রাখেন। পরদিন সকালে সে সোনা নিয়ে দোকানে চলে যায়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউছুল আজম এভিনিউতে পৌঁছালে চারজন মাইক্রোবাস থেকে নেমে গাড়িতে থাকা অনিক নামে ডিবিকে হাতকড়া পরিয়ে দেন। পরে তার কাছ থেকে স্বর্ণ ও মোবাইল ফোন নিয়ে উত্তরা মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি তদন্ত করে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে তারা। পরে ২৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, বিমানবন্দর সড়কে বিদেশ থেকে আসা লোকজনকে থামিয়ে লুটপাটের ঘটনায়ও এই চক্রটি জড়িত বলে তাদের সন্দেহ। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।