মসিউর রহমান রাঙ্গা বাংলাদেশের এক সময়ের ক্ষমতাসীন দল জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্বরত ছিলেন। কিন্তু তাকে তার পদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। টার পদে থাকাকালীন সময়ে দলের প্রতি শ্রদ্ধাশিলল থেকেই তিনি দায়িত্ব পালন করে গেছেন। রংপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়া একজন সংসদ সডস্য তিনি। সম্প্রতি জানা গেছে রাঙ্গাকে বাদ দিয়ে রংপুর জাপার আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বাদ দিয়ে রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন এবং এরই মধ্যে আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আগের কমিটি বিলুপ্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ নান্টুকে আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্যের কমিটির সুপারিশ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক চুন্নু। সদস্য সচিব আবদুর রাজ্জাক।
অনুমোদন পাওয়া আহ্বায়ক কমিটির অন্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাছের শাহ মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান (পীরগাছা), সামছুল ইসলাম (গঙ্গাচড়া), আজমল হোসেন লেবু (রংপুর সদর), অ্যাডভোকেট মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী (বদরগঞ্জ), সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি (পীরগাছা)। রংপুর সদর)। , মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (রংপুর সদর), এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ (রংপুর সদর), এসএম ইয়াসির (রংপুর সদর), ডা. এখলাস (গঙ্গাচড়া), ফেরদৌসী বেগম মালা (রংপুর সদর), অধ্যক্ষ নাহিদ ইয়াসমিন (রংপুর সদর), শাহিনুর রহমান মার্শাল (রংপুর সদর)। (তারাগঞ্জ), ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া (রংপুর সদর), অ্যাডভোকেট শাহীন (কাউনিয়া), অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন (কাউনিয়া), হাসানুজ্জামান নাজিম (রংপুর সদর), কাজলী বেগম (রংপুর সদর), মেজবাহুল ইসলাম মিলন চৌধুরী (মিঠাপুকুর), মাসুদার রহমান মিলন (রংপুর সদর)। (রংপুর সদর), মাসুদ নবী মুন্না (রংপুর সদর), সাফিউল ইসলাম সাফি (রংপুর সদর), রুহুল আমিন লিটন (রংপুর সদর), কামরুল ইসলাম ভরসা (কাউনিয়া), হাবিবর রহমান (পীরগঞ্জ), আবেদ আলী (পীরগঞ্জ), নূরে আলম। যাদু (পীরগঞ্জ), আলমগীর হোসেন (পীরগঞ্জ), জাহিদুল ইসলাম (পীরগঞ্জ) ও আল মামুন (রংপুর সদর)।
পরবর্তীতে প্রয়োজনে আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। মসিউর রহমান রাঙ্গা দীর্ঘদিন রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মসিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনার পর রংপুরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রংপুর নগরীতে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া উপজেলায় জিএম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক জীবনে নেতাকর্মীদের খারাপ দিন আসতে সময় লাগে না। দলের নেতাকর্মীদের মনোমালিন্যের কারনে যেকোনো নেতা যেকোনো হারাতে পারে তার পদ। আর ঠিক তেমনটাই ঘটেছে মশিউর রহমান রাঙ্গার সাথে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরর সাথে তার মনোমালিন্যের জন্যই রাঙ্গাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।