সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নিখোঁজ হওয়া নারীর ঘটনাটি দেশ জুড়ে অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় রহিমা বেগমকে প্রাণনাশ করা হয় রবং তাকে বস্তাবন্ধী করে নিথরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। মানুষের জীবন হলো অনিশ্চিত আর তাই কখন কার জীবনে কি ঘটে সেটা কেউ বলতে পারেনা। প্রাথমিকভাবে প্রাণনাশ করা হয়েছে এমনটা ধারণা করা হলেও পরবর্তীতে রহিমা বেগমকে জীবত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। রহিমা বেগমকে তো পাওয়া গেল জীবত অবস্থায় তাহলে বস্তা বন্দী নিথরদেহটি কার উঠলো প্রশ্ন।
খুলনায় মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমের নিখোঁজ দেশের আলোচিত ঘটনা। নিখোঁজ থাকার ২৮ দিন পর তার মাকে পুলিশ অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করে।মরিয়ম মান্নানের মায়ের নিখোঁজের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি, মানববন্ধন ও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার কাছে ধরনা দিচ্ছিলেন। তার করা মামলায় জেলেও যেতে হয়েছে ছয়জনকে।
খুলনার দৌলতপুরের মরিয়ম মান্নান দাবি করেছেন, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় দাফন করা এক নারীর নিথরদেহ তার মায়ের। তিনি দাবি করেন, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় গিয়ে উদ্ধার হওয়া ওই নারীর জামাকাপড় ও সংরক্ষিত আলামত দেখেন। প্রশ্ন জাগে তাহলে ফুলপুর নিথরদেহ কার?
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর বস্তায় লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি এটি প্রাণনাশ কাণ্ড। প্রাণনাশের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা নিথরদেহের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।
ওই নিথরদেহ কার এমন প্রশ্নে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা আমার থানা ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি করেছি। এখানে কেউ নিখোঁজ নেই আমরা বিশ্বাস করি মহিলাটিকে অন্য কোথাও প্রাণনাশ করে বস্তায় ভরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় ওই নারীর ছবিসহ পোস্টার লাগিয়েছি। পত্রিকায় প্রকাশ করেছি। বিভিন্ন জেলায় ওয়ারলেস মেসেজে ছবিসহ খবর পাঠিয়েছি। এখনও চেষ্টা চলছে. একই সঙ্গে প্রাণনাশ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর নিখোঁজ মামলায় গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, ‘জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য রহিমা বেগম পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপনে যান। বিষয়টি তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা জানতেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার হাওয়ার পলাশ ও ইয়েলের বাবা আনছার উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা নাট্যকার। প্রায় এক মাস প্রশাসনকে মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করেছে। এমনকি ময়মনসিংহে গিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করেন মরিয়ম। তিনি গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও রহিমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, রহিমার কথিত অপহরণের মামলায় আমার দুই ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তারা হয়রানির শিকার হয়। জমির সীমানা নিয়ে মতবিরোধের কারণে মামলা দিয়ে হয়রানি ও মানহানি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, একজন মানুষ আর একজন মানুষকে ফাঁসানোর জন্য খুব খারাপ ফন্দী করে থাকে যার কারণে ভুক্তভোগী অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সমাজে অনেক দুষ্ট মানুষ আছে যারা সব সময় ওতপেতে থাকে কিরে অন্যের ক্ষতি করা যায়। তবে অপরাধকারী যেই হোক অপরাধ করে পার পায় না, এক সময় না এক সময় তাকে আইনের কাছে ধরা ক্ষেতেই হয়।