দুর্নীতি করা হলো খুব খারাপ একটি কাজ। আর এই খারাপ কাজের শিকার মূলত সাধারণ মানুষেরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বিশেষ করে রেলওয়েতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ বহুদিন ধরেই শুনা যাচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেল বাংলাদেশের রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি এবার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি রাজশাহীর পর সিলেট রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে তিনি সিলেট রেলস্টেশনে পৌঁছান। এ সময় তিনি যাত্রীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিফলেট বিতরণ করেন।
যাত্রীদের উদ্দেশে মহিউদ্দিন রনি বলেন, “সিলেটের মানুষ অনেক সচেতন। এখানে আসার পর আমরা তেমন কিছু পাইনি। এসে দেখি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী শৃঙ্খলা ও কর্তব্যে অবহেলা করছেন না। এ অঞ্চলের মানুষ সচেতন হওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। তবে রেলস্টেশনে অবস্থানকালে এক ব্যক্তিকে কালো টিকিট বিক্রি করতে দেখেছি, পরে সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করি।’
দেশব্যাপী তার প্রচারণা অব্যাহত থাকবে বলে জানান রনি। তিনি বলেন, “আপনারা কেউ যদি রেলওয়ে খাতে ভোগেন, তাহলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারেন।” আপনি যদি ফলাফল না পান তবে আপনি অভিযোগ করতে এবং আমাকে ইমেল করতে পারেন। আমি আপনার জন্য কাজ করব. রনি বলেন, “দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। বর্তমানে সব রেলস্টেশন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভালো লাগছে। আমরা রেল খাতকে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনামুক্ত দেখতে চাই।
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে বাংালদেশের রেলওয়ে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের জন্য আর এই বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দেশের রেলওয়ে ব্যবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। এই অনয়ম ও অব্যবস্থাপনা থেকে মানুষ শীঘ্রই মুক্তি চায়।