খুবই অল্প মূল্যে নানা আকর্ষণীয় পণ্যের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোযে গত বেশ কয়েক মাস ধরেই সংবাদ নানা আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্ণধার রাসেল-শামীমা দম্পতি। তবে রেশ না কাটতেই এবার আদালত থেকে বড় ধরণের দুঃসংবাদ পেলেন তারা।
চেক জালিয়াতির মামলায় ইভেলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। বাদীর পক্ষে আইনজীবী এইচ.এম. আল-আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ অক্টোবর বাদীর আইনজীবী হিসেবে আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন মেহেদী হাসান খান নামের এক ক্রেতা।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি মেহেদী হাসান খান ইভ্যালি থেকে তিনটি মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ফোন ও কিছু গিফট কার্ড অর্ডার করেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। মালামাল ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও আসামিরা তা দিতে ব্যর্থ হয়।
এরপর ৯ মার্চ ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করে। ৫ জুলাই চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। তারপর ২৯ নভেম্বর মামলা করেন মেহেদী।
দায়ের করা এ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। তবে আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরবর্তীতে তিন ধার্য তারিখে এ বিষয়ে প্রতিবেদন না আসায় রাসেল-শামীমা দম্পতির সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিলেন আদালত।