রওশন পরিবারে আপনজনকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো রওশন পরিবারে। হৃতিক রোশনের দাদি পদ্মরানি ওমপ্রকাশ ৯১ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। হৃতিকের দাদি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন পারিবারিক সূত্রে এমনটাই জানা যায়। পদ্মারানি ওমপ্রকাশ অবশেষে ১৬ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন। হৃতিক রোশনের দাদি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক জে ওম প্রকাশের স্ত্রী।
প্রয়াত হয়েছেন হৃত্বিক রোশানের নানী পদ্মারানি ওমপ্রকাশ। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার) হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পদ্মারানি ওমপ্রকাশ। প্রয়ানকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। পদ্মারানির প্রয়ানের খবর নিশ্চিত করেছেন মেয়ে জামাই পরিচালক রাকেশ রোশান। হিন্দুস্তান টাইমসকে এই কিংবদন্তী নির্মাতা তার শাশুড়ির প্রয়াত হওয়ার খবর দিয়ে জানান, দুর্ভাগ্যবশত হলেও এই খবর সত্যি, ওম শান্তি। পরিচালক জে ওমপ্রকাশের স্ত্রী ছিলেন পদ্মারানি। হৃতিক রোশানের মা পিঙ্কি রোশান জে ওমপ্রকাশ ও পদ্মারানি ওমপ্রকাশের মেয়ে। নানীর খুব কাছের ছিলেন হৃত্বিক নিজেও। তাইতো পুরো রোশান পরিবারে এখন নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জানা গেছে, বয়সের কারণে পদ্মারানি রোশান পরিবারের সঙ্গেই বাস করছিলেন বিগত ২ বছর ধরে। বার্ধক্যজনিত কারণে বিছানাতেই পরেছিলেন দীর্ঘসময়। হৃত্বিকের মা পিঙ্কি মাঝেমধ্যেই মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে নিতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
উল্লেখ্য, হৃতিক রোশনের দাদা এবং পিঙ্কি রোশনের বাবা জে ওম প্রকাশ কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি আস কা পাঁচি, অ্যায় মিলান কি বেলা, অ্যায় দিন বাহার কে, আয়া সাওয়ান ঘুম কে, আঁখোঁ আঁখোঁ মে এবং আখির কিয়ুন-এর মতো ছবি তৈরি করেন। অভিনেতা ৭ আগস্ট, ২০১৯ এ ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন। এবং তার স্ত্রী প্রয়াত যান তিন বছরেরও কম সময় পরে।