Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার দেশের বিত্তশালীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

এবার দেশের বিত্তশালীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

একসময়ের রংপুরে দেখা যেত প্রচুর মঙ্গা সাথে দুর্ভিক্ষ। তবে এখনের রংপুর আর দশ পনেরো বছর আগের রংপুর সম্পূর্ণই আলাদা। এখন আর রংপুরের মানুষকে দুর্ভিক্ষের সাথে লড়াই করতে হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রংপুরের দুর্দিন কেটেছে ধাপে ধাপে। তাইতো রংপুর বিভাগীয় সদর ভবন উদ্বোধন করার সময় এসব বিষয় নিয়ে কথা বললেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে আর মঙ্গা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৮ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নবনির্মিত ‘রংপুর বিভাগীয় সদর ভবন কমপ্লেক্স’ (ভার্চুয়াল) উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: আমরা রংপুর বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এবং আল্লাহর রহমতে আমরা ক্ষমতায় আসার পর এ অঞ্চলে আর মঙ্গা বা দুর্ভিক্ষ হয়নি। কর্মসংস্থান হয়েছে।মানুষের খাদ্যে রংপুর এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকায় পরিণত হয়েছে।যেখানে এক সময় মানুষ মারা যাচ্ছিল খাদ্যের অভাবে।আমরা চাই আমাদের দেশ আরো উন্নত হোক,অগ্রসর হোক।

ভুলে গেলে চলবে না রংপুরবাসী রেগাটাতে ভোট দিয়ে সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। ‘

রংপুরের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে অনেক মানুষ বিশেষ করে রংপুরের মানুষ ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু রংপুরের মানুষের ভাগ্যের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। . তারা নিজেদের ভাগ্য গড়েছে, সাধারণ মানুষের ভাগ্য নয়। ‘

প্রধানমন্ত্রী রংপুর অঞ্চলের মানুষের শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। ‘এ এলাকায় শিক্ষার হার কম ছিল, কিন্তু এখানে যোগ্য শিক্ষার্থী ছিল, তাই আমরা এখন সেই হিসেব করে ব্যবস্থা নিয়েছি, আমরা কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, লালমনিরহাটে একটি এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের একটি জায়গার নামকরণ করা হয়েছে। এর কমপ্লেক্স এবং ট্রেনিং সেন্টার স্থাপিত হয়েছে, আমরা রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেগম রোকেয়ার পক্ষে এটি করেছি, তিনিই প্রথম শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাই আমাদের পড়ার সুযোগ হয়েছিল। এ অঞ্চলের প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ রয়েছে। ‘

সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন: “আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে অন্তত বাংলাদেশ উন্নতি করছে। আজ আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতা” দেশের মানুষ বেড়েছে। মানুষ অনেক স্বচ্ছল হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই।”

তিনি বলেন, জাতির পিতার এদেশের জন্য, এদেশের মানুষের জন্য যে স্বপ্ন ছিল তা হবে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। এটাই আমাদের লক্ষ্য। এদেশে আর মঙ্গা না থাকুক, না থাকুক ক্ষুধা, আর না থাকুক এদেশের মানুষের দুর্ভোগ। ‘

প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সম্পূর্ণ করব। নগরবাসী শহরে বসবাস করলেও নাগরিকরা সব সুবিধা পাবেন। ‘

আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ জাতি গড়ার লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তুলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আল্লাহর রহমতে ২০০৮ সালের নির্বাচনী কর্মসূচীতে আমরা যে সকল বক্তব্য দিয়েছিলাম তা বাস্তবায়ন করেছি।আজ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমি সেই পরিকল্পনা করেছি। ‘

শেখ হাসিনা বলেন: “আজ আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করা। তাই আমরা ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরি করেছি। এটিও বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ। এই অগ্রগতি কেউ আটকাতে পারবে না। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ। ভবিষ্যৎ।’

“আমাদের প্রতিটি মানুষের উন্নতি হোক, আমাদের প্রতিটি শিশু পড়তে শিখুক। ভবিষ্যৎ বংশধরেরা ভালো বাসবে, তারা ভালো জীবন পাবে। ‘

উত্তরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন শীতকাল, সবাই শীতে কষ্ট পাচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি, আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করব যারা। ধনী, তারা শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব কে এম আলী আজম, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল ওয়াহাব ভুনা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বলে কথা, তাই সেটার দিকেই জনমানুষের লক্ষ্য বেশি। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী রংপুরের উন্নয়নসহ আরো নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাথে এটাও মানুষকে জানিয়ে দেন নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন সম্ভব, আহ্বান করেন জনগণকে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য।

About Ibrahim Hassan

Check Also

উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর জন্য দায়ী তারই পূত্রবধূ, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *