বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর জানিয়েছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনও চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমানে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। তবে গভর্নর আশ্বস্ত করেছেন যে, রিজার্ভ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে।
গভর্নর বলেন, গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার এবং রফতানি আয় দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। তিনি প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে উল্লেখ করেন যে, রেমিট্যান্সে দুবাই সৌদি আরবকে টপকে শীর্ষে উঠেছে। এটি উদ্বেগজনক, কারণ সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাইয়ে আসছে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান মুদ্রা বিনিময় হারে কারসাজি করছে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
সরকারের প্রণোদনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনার জন্য ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, যা বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে।
বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর জোর দিয়ে ড. মুনসুর বলেন, প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠাতে পারলে বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স অর্জন করা সম্ভব। এটি কঠিন নয়, তবে সঠিক পরিকল্পনা ও দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ফলে অর্থপাচার বন্ধ হয়েছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।