শেষ হলো অপেক্ষার অবসান। আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে গেল সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ইতিমধ্যে দেশের প্রায় সব জায়গাতেই এই উৎসবের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। আর এরই জের ধরে তারকা মহলে মেলে কয়েক দিনের ফুরসত। কিছুদিনের জন্য কাজের কথা ভুলে গিয়ে এই উৎসবের আনন্দে যোগদেন তারকারাও.
আর এই তালিকায় থাকা একজন দুই বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এবারের পূজায় কলকাতায় কাটাবেন তিনি।
পূজার পরিকল্পনা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘কলকাতা আমার প্রাণের শহর। ভালোবাসার শহর। পুজোয় সেই চেনা শহর যেন একটু অচেনা হয়ে যায়। কোনও প্রিয় মানুষ আচমকা সেজে উঠলে যেমন অবাক লাগে, শারদ-কলকাতাও যেন তা-ই। চারদিকে কত আলো, মাইকে অনবরত গান, পথঘাট ছেয়ে থাকে ছাতিমের মিষ্টি গন্ধ। অনেকগুলো পুজোই এখানে কাটিয়েছি। এবারও আমি কলকাতায়। পুজোর চারটে দিন নিজের মতো করে কাটাব।’
জয়া আরও জানান, ‘আমার পুজো মানেই আড্ডারূপেণ সংস্থিতা! বন্ধুদের বাড়ি যাওয়া, মন খুলে কথা, হাসাহাসি। পুজোয় বেশ কিছু বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার দাওয়াত ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছি। তাই কোথায় আড্ডা দেবো, তা নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করতে হচ্ছে না। কিন্তু পেটপুজো ছাড়া আবার আড্ডা হয় নাকি! আমি খুবই খাদ্যরসিক। অভিনয় করলেও খাওয়াদাওয়ায় কোনও রকম বিধিনিষেধ মানি না। যখন যা ইচ্ছে, তাই খেয়ে নিই। পুজোতেও ভালমন্দ খাবার চাই-ই চাই! যে দিন যে বন্ধুর বাড়িতে ভালো-মন্দ রান্না হবে, সে দিন সেখানেই গিয়ে হাজির হবো। তবে দিনভর যা-ই খাই, যতই খাই, শেষ পাতে মিষ্টি লাগবেই আমার।’
পূজায় সাজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘খাওয়া আর আড্ডা তো হল। এ বার আসি সাজের কথায়। উৎসবের দিনগুলোয় শাড়িই আমার প্রিয় সাজ। কিন্তু ইচ্ছে হলে অন্যান্য পোশাকও পরি। সাজগোজ করব, টইটই ঘুরব শহরের এদিক-সেদিক। মন ভরে দেখে নেব কলকাতাকে।’
প্রসঙ্গত, বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম ব্যস্ত একজন অভিনেত্রী ও মডেল জয়া আহসান। দেশের পাশাপাশি কলকাতার ছবিতেও অভিনয় করে পেয়েছেন দারুন সফলতা। অভিনয় জগতে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মাধ্যমে। তবে পরবর্তীতে ‘গেরিলা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি।