যুব বিশ্বকাপকে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য কঠিন পরীক্ষা হিসেবে ধরা হয়। যে ক্রিকেটাররা এখানে পারফর্ম করবে তারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের শক্তি দেখাবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি প্রযোজ্য। ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপে খেলা সাকিব-তামিম-মুশফিকরা দীর্ঘদিন জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করছেন। যুব বিশ্বকাপ থেকে উঠে আসা তারকাদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
আইসিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুব বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের জাতীয় দলে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার সুযোগ পান। এখন পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে খেলা খেলোয়াড়দের ৪১ শতাংশই লাল ও সবুজ জার্সি পরে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যা অন্য সব টেস্ট খেলা দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
তালিকায় বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। যুব বিশ্বকাপের 38 শতাংশ খেলোয়াড় তাদের দেশের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। তালিকায় তৃতীয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুব বিশ্বকাপের 36 শতাংশ খেলোয়াড় পরবর্তীতে দ্বীপরাষ্ট্রের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ এই তালিকার নীচে রয়েছে। যুব দল ছাড়াও খেলোয়াড়দের বিকাশের জন্য তাদের অন্যান্য উত্স রয়েছে। ইংল্যান্ড ও ভারতের হয়ে খেলা যুব বিশ্বকাপের ২৮ ও ২৭ শতাংশ তারকা পরে জাতীয় দলে সুযোগ পান।
যুব বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দলের অভিষেকের তালিকায় একেবারে নিচের দিকে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিদের 20 শতাংশ এবং প্রোটিয়া যুব বিশ্বকাপের 18 শতাংশ তারকা পরে জাতীয় দলে সুযোগ পান।