কানাডার নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসকারী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কানাডার অবস্থান স্পষ্ট করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
তিনি বলেছেন, “ভারতকে উসকানি দেওয়ার কোনো অভিপ্রায় কানাডার নেই। আমরা কেবল চাইছি- হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে ভারত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুক এবং কানাডাকে সহায়তা করুক।”
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ট্রুডো।
তিনি বলেন, “আমরা চাই ভারতের সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই ব্যাপারটি বিবেচনা করুক। আমরা হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা কেবল উত্তর চাই কাউকে উসকানি কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই।”
হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডায় বাস করতেন এবং সেখানকার শিখ ধর্মাবলম্বীদের একজন নেতা ছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে কানাডা গিয়েছিলেন, পরে সেখানাকার নাগরিকত্বও অর্জন করেন।
এদিকে ভারতের একজন তালিকাভুক্ত ‘ফেরার’ সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং ‘শিখস ফর জাস্টিস’ কানাডা শাখার নেতা ছিলেন তিনি। দু’টি সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ। হরদীপকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করাতে আগ্রহী ছিল ভারত।
গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যানকুভার শহরের একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হরদীপ।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সম্প্রতি ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে।
এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নিয়ে নিজ নিজ দেশ থেকে কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে কানাডা ও ভারত।