পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংস্থাটি তহবিল সংকটের কারণে এই পরিণতির মুখোমুখি হয়েছিল। দেশটির সরকার জরুরি ভিত্তিতে তহবিল সরবরাহ না করলে, পিআইএ কর্তৃপক্ষ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে না।
পিআইএর একজন সিনিয়র পরিচালক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোম্পানির ২৩টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৭টি যান্ত্রিক সমস্যার কারণে আটকে আছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুটি বিমান কোম্পানি বোয়িং এবং এয়ারবাস থেকে এসব বিমান কেনা হয়েছে।
এই দুই কোম্পানির তৈরি কোনো বিমানের কোনো যন্ত্রাংশ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে যন্ত্রাংশ দুটি কোম্পানি থেকে কিনতে হবে।
পিআইএর পরিচালক বলেন, আগের বকেয়া পরিশোধ না করায় বোয়িং-এয়ারবাস যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে চায় না। ফলস্বরূপ, অলস থাকা সাতটি বিমান পরিচালনা করা যায়নি এবং পিআইএকে বেশ কয়েকটি নির্ধারিত ফ্লাইট কাটতে হয়েছিল।
এছাড়া জেট ফুয়েল বকেয়া নিয়ে পিআইএকে আরও শ্বাসরুদ্ধ করা হয়েছে। সৌদি আরবের দাম্মাম বিমানবন্দর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দর সম্প্রতি জ্বালানি বকেয়া পরিশোধ না করার জন্য ৫ টি পিআইএ ফ্লাইট গ্রাউন্ড করেছে। পরে পিআইএ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) কাছ থেকে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে বিমানগুলো উদ্ধার করে।
সিনিয়র পরিচালক বলেন, “আমরা পিআইএ পুনরায় চালু করার জন্য সরকারের কাছে ২,৩০০ কোটি টাকা জরুরি বরাদ্দ চেয়েছি।” অবিলম্বে এই টাকা না পেলে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পিআইএ বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটি পিআইএর জরুরি বরাদ্দের আবেদন আগেই নাকচ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।