ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে ব্রিটেন সফরে আছেন। তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এসেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে দেখা করতে। তাকে স্বাগত জানাতে বাসভবনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সুনাক ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানায় এবং তাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকলেই সমস্যা হয়। সেকি ! ধাক্কা দিয়েও দরজা খুলছে না। ঋষি সুনক এবং মার্ক রুটকে বেশ কিছুক্ষণ বাড়ির বাইরে দাঁড়াতে হয়েছিল। ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সাথে ‘অবৈধ অভিবাসনের ক্ষতিকর দিক এবং যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা নীতি’ নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল সুনাকের। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী নেতা মার্ক রুটেকে ডাউনিং স্ট্রিটে স্বাগত জানাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে যখন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের প্রবেশপথে ঠক্ঠক্ শব্দ করতে দেখা যায় তখন তারা হাত নেড়ে কথা বলছিলেন।
ঋষি সুনাক এবং মার্ক রুট বাসভবনে প্রবেশের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে দৃশ্যত বিরক্ত হয়েছিলেন। অবশেষে ভেতর থেকে দরজা খুলে গেল। চারবারের ডাচ প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এটিই ঋষি সুনাক এবং মার্ক রুটের মধ্যে শেষ কূটনৈতিক বৈঠক। অভিবাসন নিয়ে বিরোধের মধ্যে এই বছরের শুরুতে মার্ক রুটের জোট সরকারের পতন ঘটে। গত মাসে ডাচ সাধারণ নির্বাচনে গির্ট ওয়াইল্ডার্স জিতেছেন।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন: “নেতারা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা জিম্মিদের মুক্ত করার লড়াইয়ে বিরতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সম্মত হয়েছেন যে আরও সাহায্য পেতে সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নতুন রুট অন্বেষণ সহ গাজায় আরও সহায়তা পেতে সক্ষম হওয়া অত্যাবশ্যক ছিল। তারা আঞ্চলিক উত্তেজনা রোধ করার গুরুত্ব এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার হুমকির প্রচেষ্টা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টার বিষয়েও একমত হয়েছে।” মুখপাত্র বলেছেন- “ঋষি সুনাক ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সাথে তার সাম্প্রতিক কথোপকথনের কথা স্মরণ করেছেন এবং ইউক্রেনের মিত্রদের সমর্থনে অবিচল থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।”