যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তিন দেশের গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল, বলপ্রয়োগ, অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশসহ একাধিক অভিযোগের আলোকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে- ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, এই খড়গ মিডিয়ার ওপরও আসতে পারে। যদিও পরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় মিডিয়া থাকবে না।
তবে স্বাধীন মতপ্রকাশের যুগে গণমাধ্যমকে আদৌ নিষিদ্ধ করা যায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোন অভিযোগ বা মতামত নিষেধাজ্ঞা সাপেক্ষে তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
মিডিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নজির রয়েছে। ২০২২ সালে ওয়াশিংটন ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া, ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) এর ৬ কর্মকর্তার এবং সাংবাদিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অভিযোগ, মাহসা আমিনীর মৃ/ত্যুকে ঘিরে বিক্ষোভে নি/হতদের পরিবারকে মিডিয়া হ/য়রানি করে এবং মৃ/ত্যুর কারণ আড়াল করার চেষ্টা করে। ওই ৬ কর্মকর্তার বৈদেশিক সম্পদ জব্দ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ, বিনিয়োগ বা ব্যবসা করা নিষিদ্ধ।
ইরানের ফারস ও তাসনিম সংবাদ সংস্থাগুলোকেও সরকারের পক্ষ থেকে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে ওই বছর নিষিদ্ধ করা হয়।
২০২২ সালে ইউক্রেন যু/দ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেন সরকার মস্কোতে ১০০ টিরও বেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যে ছিল ক্রেমলিনভিত্তিক মিডিয়া চ্যানেল চ্যানেল ওয়ান, রাশিয়া ওয়ান এবং এনটিভি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর এই চ্যানেলগুলিতে বিজ্ঞাপন দিত প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
একই বছরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলবেনিয়ান টিভি চ্যানেল ওরা নিউজ, আরটিভি এবং চ্যানেল ওয়ান নিষিদ্ধ দেয়। ভুয়া খবর ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।