Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / National / যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এবারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় তারা শপথ নেবেন। চলতি বছরের মন্ত্রিসভার ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রীর নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে।

একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী কী কী সুবিধা পান তা জানতে আগ্রহী অনেকেই। তারা গাড়ি, বাড়ি, চিকিৎসা খরচসহ অন্তত ১৩ ধরনের সুবিধা পান। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইনে প্রতিমন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধা ও দায়িত্ব সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

বেতন এবং ভাড়া:

একজন মন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীর বেতন ৯২ হাজার এবং উপমন্ত্রীর বেতন ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। একজন মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি খরচে একটি সুসজ্জিত বাসভবন বিনামূল্যে পান। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী একই সুবিধা পান। তবে মন্ত্রী যদি নিজের বাড়িতে বা ভাড়া বাড়িতে থাকেন, তাহলে তিনি সরকারের কাছ থেকে মাসিক ৮০ হাজার টাকা ভাড়া পাবেন। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পাবেন ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া নিজের বাড়িতে বা ভাড়া বাড়িতে থাকলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে তিন মাসের বাড়ি ভাড়ার সমান টাকা পাবেন।

এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ:

একজন মন্ত্রী তার এলাকার মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নসহ এলাকার মানুষের সেবামূলক কাজের জন্য বছরে ১০ লাখ টাকা দেন। এ খাতে প্রতিমন্ত্রী পাবেন সাড়ে সাত লাখ ও উপমন্ত্রী পাবেন পাঁচ লাখ। এই টাকার মধ্যে মন্ত্রী একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দিতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রী ৩৫ হাজার এবং উপমন্ত্রী ২৫ হাজার দিতে পারবেন।

বিনোদন ভাতা:

মন্ত্রী হওয়ার পর দেশি-বিদেশি বহু মানুষ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন নির্বাচনী এলাকার মানুষও। তাদের আপ্যায়নের জন্য একজন মন্ত্রী মাসে ১০ হাজার টাকা, প্রতিমন্ত্রী সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং উপমন্ত্রী পাঁচ হাজার টাকা পান। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে বছরে 10 লাখ টাকার বীমা সুবিধা পাবেন।

চিকিৎসা খরচ:

মন্ত্রিসভার সদস্যরা অসুস্থ হলে চিকিৎসার পুরো খরচ সরকার বহন করে। এই ক্ষেত্রে, বলা হয় যে চিকিৎসা ব্যয় সীমাহীন। তবে ব্যয়ের ভাউচার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে হবে।

গাড়ির বৈশিষ্ট্য:

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা সরকারি খরচে একটি করে গাড়ি পাবেন। সরকারী প্রয়োজনে বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াতের সময় তারা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কোনো সংস্থা বা বিভাগ থেকে একটি জিপ গাড়ি পাবেন। জ্বালানি খাতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী দৈনিক ১৮ লিটার জ্বালানি তেলের সমপরিমাণ টাকা পাবেন।

একজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ করলে দৈনিক ভাতা পাবেন ২০০০ টাকা। উপমন্ত্রী পাবেন ১৫০০ টাকা।

ঘর সাজানোর জন্য অর্থ:

সরকারি বাড়ি সাজাতে প্রতি বছর পাঁচ লাখ টাকা পাবেন একজন মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পাবেন চার লাখ টাকা। এ ছাড়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বাসভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোনের খরচ সরকার বহন করবে।

মন্ত্রীর 10 জন সহকারী:

মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের বিবেচনার ভিত্তিতে উপসচিব পদমর্যাদার একজন ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) থাকবেন। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে তিনি তার পছন্দের একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং একজন সহকারী একান্ত সচিব পান। এ ছাড়া দুজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন জমাদার, একজন আরদালী, দুজন অফিস সহকারী ও একজন বাবুর্চি পাচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা একজন একান্ত সচিব, একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন জমাদার, একজন আরদালী এবং একজন অফিস সহকারী পান। এছাড়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা একটি করে মোবাইল ফোন পাবেন।

চিফ হুইপ ও বিরোধীদলীয় নেতা:

জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ ও বিরোধীদলীয় নেতার পদটি পূর্ণ মন্ত্রী পদমর্যাদার। তিনি একজন প্রাইভেট সেক্রেটারি (পিএস), একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি (এপিএস), দুজন ব্যক্তিগত অফিসার, একজন ক্যারিয়ার, দুজন অফিস সহকারী এবং একজন বাবুর্চি পান। এ ছাড়া আট পুলিশ সদস্য, দুই বন্দুকধারীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাকে। বিরোধীদলীয় নেতাও গাড়ি সুবিধা পান। মন্ত্রীদের মতো বিরোধী দলের নেতারাও সরকারি বাসস্থান পান। ওই বাড়ির যাবতীয় খরচ সরকার থেকে। এ ছাড়া হুইপ একজন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার।

এর আগে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ জানুয়ারি। বেসরকারি ফলাফলে ২৯৮টি আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে জয়লাভ করে। আর স্বতন্ত্ররা জিতেছে ৬২টি আসনে, জাতীয় পার্টি জিতেছে ১১টি আসনে এবং অন্যান্য দলগুলো জিতেছে ৩টি আসনে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বশেষ মন্ত্রিসভা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে।

About Zahid Hasan

Check Also

জাহ্নবী কাপুরের ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

মন্দিরের সিঁড়ির একপাশে অসংখ্য ভাঙা নারিকেল। তার পাশে থেকে হামাগুড়ি দিয়ে উপরে উঠছেন বলিউড অভিনেত্রী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *