সোমবার থেকে রাত ৮টার পর মার্কেট ও শপিংমল খোলা থাকবে না এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রনালয়। তবে এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি খোলা রাখা যাবে এমন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের তালিকাও প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসানে এলাহী
গত রোববার বলেন, সোমবার রাত ৮টা থেকে নিদ্রিষ্টভাবে উল্লেখ করা দোকান বা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টা থেকে সারাদেশের দোকানপাট, মার্কেট বন্ধ থাকবে। তবে দোকানে ক্রেতা থাকলে আধা ঘণ্টা পর্যন্ত ক্রেতাকে কেনাকাটার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, রেস্তোরাঁ, সিনেমা বা প্রেক্ষাগৃহও খোলা রাখা যেতে পারে। গত রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। সভায় উপস্থিত ছিলেন। শ্রম আইন অনুযায়ী রাত ৮টার পর যেসব স্থাপনা খোলা রাখা যায় সেগুলো হলো: ডক, জেটি, স্টেশন বা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস, সবজি, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান, ওষুধ, অপারেটিং সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ বা চিকিৎসা সামগ্রীর দোকান, দাফন এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রির একটি দোকান, তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, সংবাদপত্র, পত্রিকা এবং খুচরা দোকান খুচরা, পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামতবিহীন মোটর গাড়ি পরিষেবা স্টেশন, নাপিত এবং হেয়ারড্রেসার, কোন পয়ঃনিষ্কাশন বা স্যানিটেশন, যে কোনও শিল্প, ব্যবসা বা সংস্থা যা মানুষকে শক্তি, আলো বা জল সরবরাহ করে এবং ক্লাব, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, খাবারের দোকান, সিনেমা বা থিয়েটার।
উল্লেখ্য, স’চিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা সরকারের নির্দেশের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশের পর সোমবার রাত ৮টা থেকে মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পহেলা জুলাই থেকে ১০ জুলাই প্রর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সমিতির নেতারা। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, তার মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করবে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।