প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপকমাত্রায় ভুলের জন্য দেশজুড়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। যেটা সংশোধনের জন্য অভিভাবকদের তরফ থেকে বলা হয়, কিন্তু বই বিতরনের পর সে সুযোগ না থাকায় শিক্ষকদের মাধ্যমে সেটা আপাতত ঠিক করার মাধ্যমে পড়াতে বলা হয়। এই ধরনের অনাকাঙ্খিত ভুল বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের আগামি ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষযটি নিয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ের কিছু ভুল নিয়ে অতিসম্প্রতি একটি মা’মলা হয়েছে। যিনি মা’মলা করেছেন তিনি একগুচ্ছ শব্দের কথা বলেছেন। তবে যেটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটাও যে খুব ভুল তা নয়। তারপরেও সংশোধনের সুযোগ থাকলে সেগুলো সংশোধন করা হবে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকার সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে দীপু মনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বইয়ের প্রক্রিয়াগুলো যে পরিমান চাপের মধ্যে করতে হয়। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির সময়ে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেখানে যেন ভুল-ভ্রান্তি না থাকে। তার পরেও কোথাও যদি কোনো অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে যায়, অবশ্যই তা সংশোধন করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন আগামি বছর যদি বর্তমান বছরের মতো চলমান পরিস্থিতি তীব্রতা না পায় তাহলে সময় মতোই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাবে। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যবইয়ে যে ভুল পাওয়া গেছে সেটা আগামিতে সংশোধন করার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।