আসাদুজ্জামান খান কামাল হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী দায়িত্ব নেবার পর দেশ থেকে সব ধরণের অপরাধ একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ফলে দেশের মানুষ অনেক স্বস্তিতে বসবাস করতে পারছে। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন প্রাণনাশকারীরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেনো ফিরিয়ে আনবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণনাশকারীরা বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন তাদের অবস্থান আমরা জানি। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ‘বঙ্গবন্ধু-শোক আমাদের শক্তি’ শীর্ষক আলোচনা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাত চারটার দিকে আমার বন্ধু আমাকে ফোন করে বলেন, পুরো শহর সেনাবাহিনীতে পূর্ণ, ব্যাপার কী? এরপর বাড়ির বাইরে এসে দেখি সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও গাড়ির শব্দ। রাত সাড়ে চারটার দিকে রেডিও অন করে খুনি ডালিমের গলা শুনতে পেলাম। তখন কোনো বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশ করতে পারে তা বিশ্বাস করা হয়নি।
তিনি বলেন, যে নেতা বাঙালির জন্য সারা জীবন দিয়েছেন, যে নেতা ৬ দফা আন্দোলনের মাধ্যমে সকল বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, যে নেতা ধাপে ধাপে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশের কারাগারে ৩ হাজার ৫৩ দিন এবং পাকিস্তানের কারাগারে প্রায় এক বছর কাটিয়েছেন এই নেতা। ৫৫ বছরের জীবনে কারাগার বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার পরিবারকে কতটা সময় দিয়েছেন একবার ভেবে দেখুন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খুনিরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে ঘুরে দাঁড়াবে। তাই সে সময় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে প্রাণনাশ করা হয়। তবে তার দুই মেয়ে বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশের বিচার চেয়ে জনমত গড়ে তোলেন। আমরা সেই রায় পেয়েছি। কয়েকজন খুনিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আমি কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি যারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেছে। তারা বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের ফিরিয়ে আনব এবং প্রাণনাশদণ্ড কার্যকর করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাণনাশকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ের কালো দাগ মুছে গেছে। কিন্তু আমরা মনে করি বঙ্গোপসাগরের সব পানি দিয়ে ধোয়া সেই কালো দাগ দূর করতে পারবে না। বিদেশে গেলেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, আপনারা সেই মানুষ যারা তাদের জাতির পিতাকে প্রাণনাশ করেছেন। আলোচনা শেষে অতিথিরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশের জাতীর জনক তিনি। এদেশকে স্বাধীন করার জন্য তিনি অপরিসীম আত্মত্যাগ করেছেন। যে আত্মত্যাগ বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবেনা। তার মত মহানায়ক চির অম্লান হয়ে থাকবে বাংলার মাটিতে।