Dàrkwàlkér Snahmoy
সম্প্রতি বাংলাদেশের র্যাব মহাপরিচালক সহ কয়েকজনের উপর মানোবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন নিশেধাজ্ঞার পর থেকে শুরু হয়েছে তোলপাড়। জরুরী তলব করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদুতকে। যারা কিনা মানবাধিকার রক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ! এবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই নিয়ে কথা বললেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের বৈদেশিক নীতিতে মানবাধিকার সংযোজন করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার উগান্ডা, চীন, বেলারুশ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং মেক্সিকোর ১২ জন সরকারি কর্মকর্তাকে “মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের” জন্য দায়ী করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এমনটাই জানিয়েছেন।
ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেছেন, “আমরা আমাদের বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকারকে রাখতে বদ্ধপরিকর। যেখানেই মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও অপব্যবহার ঘটুক না কেন, সেগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ও জবাবদিহিতা প্রচার করার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার এবং পদক্ষেপ নিয়ে আমরা ওই প্রতিশ্রুতিকে পুনঃনিশ্চিত করি।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি অনুসারে, এক গুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা (চীনের) শিনজিয়াং-এ ব্যবহৃত নজরদারি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করা একটি কোম্পানিকে লক্ষ্য করে এবং অন্যটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (বাংলাদেশি টাস্ক ফোর্স যেটি আইনের শাসন এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করে) কে লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক মনোনীত একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা এবং দু’জন চীনা কর্মকর্তা ট্রেজারি বিভাগের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন।
মানবাধিকারকে রাখতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তবে কি কারনে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেছেন সে ব্যাপারে সুস্পষ্ঠভাবে কিছু বলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদুতকে ডেকে পাঠালেও সমাধান মিললো না, হয়ত মিলবেও না। যদি কিছু নাইবা করবে তারা তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেনইবা এমন নিশেধাঞ্জা দিবে শুধুই তাদের উপর! হয়ত এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে আমদের আরো অপেক্ষা করতে হবে।