আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে ক্ষমতা থাকতে বিভিন্ন ধরনের ষ/ড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কোনো বাধায় তাকে আটকাতে পারিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা এক পুণ্যবতী নাম। বাঙালির শান্ত সাহস। প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে জনপদকে এগিয়ে নিয়ে নেওয়া বেহুলা তিনি। বেহুলা যেমন সাপে কাটা স্বামীকে একক ভাসানযাত্রায় নিয়ে গেছেন, জীবনের নতুন স্বাদ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা একইভাবে দরিদ্র ও সাহায্য-নির্ভর অবস্থা থেকে বাঙালিদেরকে বের করে এনে মধ্যপন্থা ও নৈতিকতাকে ধারণ করে সমৃদ্ধির স্বাদ দিয়েছেন। এতে তাকে ঘিরে গড়ে উঠছে শত্রু শিবির।
কাছে-দূরের আচরণ কিংবা লক্ষ্য পর্যবেক্ষণ করলে মনে হতে পারে, এরা যেন লুট করতে এসেছে। মগের মুল্লুক প্রবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ খুঁজছে! এসবের মূল প্রতিপক্ষই এখন জনগণের সুখপাখি শেখ হাসিনা।
অধিকার আদায় ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশে সংগঠন ও ইউনিয়ন গড়ে উঠেছে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা নির্মম, নির্লজ্জ। এখন কেউ অন্যায় করলে তার সম্প্রদায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করতে চায়। ঘরের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে তৎপর, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেনে নেওয়া যায় না।
এর বাইরে গণতন্ত্রের একটা সাধারণ দিক—ক্ষমতায় যে-ই থাকুক, প্রতিপক্ষ থাকবেই। ফলে দেখা যায়, সরকারের সঙ্গে ভেতর-বাইরের স্বার্থ সম্পর্কিত বনিবনা না হলে বিরোধীপক্ষকে খেপিয়ে, ফুঁসলিয়ে, সরকারপক্ষকে বিপাকে ফেলার কৌশল অবলম্বন করা হয়। প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার করা হয়। তা ছাড়া যেখানে এখনো উসকানি দিয়ে খেপিয়ে মানুষ হ/ত্যা করানো যায়, সেখানে সচেতনতা তৈরিতে আরো সময়ের প্রয়োজন তো আছেই। এই কিছুদিন আগেও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে—এই ধুয়া তুলে একজন নারীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হ/ত্যা করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষিত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, এখানে জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি এখনো জনগণের মধ্যে গড়ে ওঠেনি। তবে বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা সেই চেতনা জাগানোর চেষ্টা করছেন। তবে আরেকটি সমস্যা হল এর ভৌগলিক অবস্থান, যা অন্যদের জন্য প্রভাবের একটি উর্বর এবং আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। বিদেশি কোনো ইস্যুতে হ্যাঁ বলার স্বভাব শেখ হাসিনার নেই। তিনি দেশীয় স্বার্থের বাইরে পা রাখেন না, যা ক্ষমতাকেন্দ্রিক অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগতদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
কেউ কেউ এই একটি চেয়ার বা ক্ষমতার বিনিময়ে সবকিছু দিতে ইচ্ছুক, যা শাসন পরিবর্তন বা ক্ষমতা পরিবর্তনের স্বার্থের জন্য উপযুক্ত হাতিয়ার। তা ছাড়া গণতন্ত্র নেই, প্রাথমিক অ/স্ত্র হিসেবে মানবাধিকার, বিচারবহির্ভূত হ/ত্যার মতো ফতোয়া- এসব তো আছেই। এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাঁরা এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদেরও প্রশ্ন ছুড়ে দিতে হয়, তাঁদের নিজেদের বাড়িতে এসব ঠিকমতো মজুত আছে?
শাসন পরিবর্তন বা ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে স্বার্থ রক্ষার কৌশলটি পুরনো। কখনো অপপ্রচার, কখনো সরাসরি হ/ত্যা, কখনো প্রহসনমূলক বিচার- এসব এখন মানুষের জানা। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দেশ এখন আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। শুধু তাই নয়, দারিদ্র্য ঝেড়ে ফেলে কল্যাণ রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এখানেই সবার গাত্রদাহ। কারণ অসহায় হলে সেবক বানিয়ে হুকুম জাহির করতে পারে, কিন্তু সাহায্যকারী হলে সমান হতে হবে।
বৈশ্বিক উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উন্নয়নশীল দেশগুলো সতর্কবার্তায় কান না দিলে মানবাধিকার সংকট দেখা দেয়, গণতন্ত্রে ত্রুটির ধুম পড়ে। গ্লাস হাতে দৌড়াতে দৌড়াতে উদ্ধারকারী দল, প্রপাগান্ডা মিডিয়া সেটা নিয়ে গবেষণামূলক প্রতিবেদন তৈরিও করে। ইদানীং কিছু দৃশ্যতও হচ্ছে। কাজেই আগামীর বাংলাদেশকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে, যেন অন্যের কানাকানি, সুড়সুড়িতে এগিয়ে চলা দেশ কক্ষচ্যুত না হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছেন। তাই ক্ষমতায় যেতে আগ্রহী অংশটি ষ/ড়যন্ত্রের পথে হাঁটতে পারে। বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাকে ঘিরে ষ/ড়যন্ত্র চলছে- এমন আলোচনা আজকাল দেশে-বিদেশে সর্বত্র।
শেখ হাসিনা বাংলার আকাশ থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয় রোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও নির্ভীক। তাই যারা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ষ/ড়যন্ত্র খেলার সুযোগ খুঁজছেন, তাদের অবশ্যই ‘নো মার্সি’ নীতি অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, নইলে এদেশ সাম্প্রদায়িক হবে, মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। দারিদ্র্য ও ক্ষুধা ছায়া সঙ্গী হবে।
প্রসঙ্গত, দেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার বিকল্প না বলে দলের নেতাদের মন্তব্য নেতৃ্ত্বকে আরোও দৃঢ় করবে। সে জন্য দেশের জন্য শেখ হাসিনার প্রয়োজন বলার অপেক্ষা রাখে না।