Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Countrywide / যেই সকল বিষয়ে উল্লেখ আছে এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে

যেই সকল বিষয়ে উল্লেখ আছে এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে

হাজারো জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে সকল বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে পদ্মার বুকে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। আগামী ২৫ জুন অবশেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিনের এই স্বপ্নের বাস্তবায়নের আলোকস্বজ্জা আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।

আর মাত্র একদিন। এরপর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কী লেখা আছে এই আমন্ত্রণপত্রে? আমন্ত্রণপত্রে ছাপা হয় সেতুর অবকাঠামো। পাশাপাশি লাল-সবুজ ও সাদাতে লেখা। এতে স্বাক্ষর করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মনজুর হোসেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। অতিথিদের একটি আমন্ত্রণপত্র সঙ্গে আনতে অনুরোধ করা হয়েছে এবং এটি হস্তান্তরযোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া আমন্ত্রণপত্রে সবাইকে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অতিথিদের কো// ভিড-১৯ পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে এবং রিপোর্টটি সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চাবি, চাবির রিং, কলম, মোবাইল, ছাতা, হ্যান্ডব্যাগ, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক্স নিষেধ। মাস্ক অপসারণ সহ সংক্রামনের নিরাপত্তা সম্পর্কিত সমস্ত প্রোটোকল ইভেন্টে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আমন্ত্রণের সাথে সংযুক্ত স্টিকারটি গাড়ির উইন্ডশিল্ডের বাম দিকে দৃশ্যমান বলে জানা গেছে। এছাড়া শনিবার সকাল ৯টায় অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এরপর সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে সভাস্থলে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক মিনিট পর ডকুমেন্টারি দেখানো হবে। এরপর সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দেখানো হবে পদ্মা সেতুর থিম সং। সকাল সোয়া ১০টায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য শেষে তিনি মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। পরে মোনাজাত হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু পার হয়ে জাজিরা প্রান্তে এসে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। অনুমান করা হচ্ছে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ৮-১০ লক্ষ লোক উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন ভোর থেকে বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত মেগা কাঠামোটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এদিকে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)। তবে অবকাঠামোর ক্ষেত্রে কোনো ছোটখাটো কাজ থাকলে তা আগামী এক বছরের ডিফেক্ট লায়বিলিটি পিরিয়ড-এর মধ্যে করবে।

উল্লেখ্য, হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ও নদীর নিজস্ব (গভীর-দ্রুত স্রোত) প্রতিকূলতা কাটিয়ে নিজ খরচে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হবে। দেশের মানুষ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের উদ্ধোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারের টোলের হার নির্ধারণ করেছে। এই সেতুর উদ্ধোদনে দক্ষিনের প্রায় ২১ জেলার মানুষ উপকৃত হবেন, তার এই জেলা গুলোর ব্যাবসায়িক অবস্থার উন্নতির উল্লেখ জনক হারে বৃদ্ধি পাবে এমনটি আশা করছেন দক্ষিন জেলার বাসিন্দারা।

About Syful Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *