মাদক মামলায় যুবলীগ নেতা নাজমুলের পরিবর্তে মিরাজুল কারাগারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, তারা ঘটনার প্রকৃত সত্য জানতে চান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে এলে বিচারপতি আতাউর রহমানের একক বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এ আদেশ দেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্টে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উত্তরায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে মাদক চক্রের মূল হোতা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
মাদক উদ্ধারের এ ঘটনায় দুই আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পলাতক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। নাজমুল হাসান, যুবলীগ নেতা, 53 নং ওয়ার্ড, উত্তরা, ঢাকা, মাদক ব্যবসার মূল হোতা।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট নাজমুলের পরিচয় নিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গাজীপুরের মিরাজুল ইসলাম। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ফলে নাজমুলের পরিবর্তে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান মিরাজুল। ১১ দিন কারাগারে থাকার পর ওই বছরের ২০ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান তিনি। গাড়ি-বাড়ি ও মোটা অংকের টাকার জন্য নাজমুলের পরিবর্তে মিরাজুল কারাগারে গেছেন বলে জানা গেছে।