সারাদেশে চলছে নির্বাচন সাথে চলছে প্রচারণা। নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে অনেক জায়গা থেকে অনেক ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোথাও সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এমন কি শোনা গেছে দলীয় সমাবেশে থেকে ফোন চুরির মত ঘটনা। হ্যাঁ এমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা যুবলীগ বর্ধিত সভা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শোনা গেছে তাও একটি নয় শতাধিক মোবাইল চুরির অভিযোগ মিলেছে সেখান থেকে।
শনিবার এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল।
বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুনতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিশাল শো-ডাউন নিয়ে জড়ো হন নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক মোবাইল চুরি করে নিয়েছে চোর চক্র।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সম্মুখে মোবাইল ফোন চুরি করার সময় শামিম নামের এক যুবককে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোর্পদ করে উপস্থিত জনতা। মোবাইল চুরির ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একাধিক জিডি দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মোবাইল ফোন চুরি যাওয়া যুবলীগ নেতা জনি, জহির, অপুসহ কয়েকজন জানায়, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় অর্ধশতাধিক নেতার মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, কয়েকটি মোবাইল চুরির খবর পেয়েছি। তবে যুবলীগের নেতাকর্মীরা বলেছেন অর্ধশতাধিক মোবাইল চুরি হয়েছে। মোবাইল চুরি হওয়ায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুলসহ দুই জন থানায় জিডি করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যার ঠিক আগ মূহূর্তে শামীম নামে এক যুবককে জেলা শিল্পকলার সামনে জনতা মোবাইল চোর বলে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
চোর একজনকে পাওয়া গেলেও সবাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনো। হারানো সকল মোবাইলও এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি। আসলেই কি এত মোবাইল একসাথে চুরি হয়েছে নাকি কম চুরি হয়েছে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু খবর এখনও পুলিশ দিতে পারেনি। তবে চোর একজনকে যেহেতু পাওয়া গেছে হয়তো বাকিদেরও তদন্ত করলে পাওয়া যাবে। আর তখনই জানা যাবে আসলে কতগুলো মোবাইল চুরি হয়েছিল।