টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলনে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ দলকে নিয়ে কিছু কথা বললেন সেইসাথে জানিয়ে দিলেন যুবলীগের ২ টি প্রধান দায়িত্ব সম্পর্কে। আসলে রাজনীতি করতে গেলে অনেক কষ্ট শোষণ-নিপীড়নও মাঝে মাঝে সহ্য করে তারপরই হতে হয় একজন নেতা। তেমনি আম্লীগের কিছু নেতা আছেন যারা অনেক শোষিত নিপীড়িত হয়েও দল ছাড়েননি। কিন্তু দলের যদি নব্য আওয়ামী লীগের প্রাধান্য বেশি দিয়ে তাদেরকে ফেলে রাখা হয় তাহলে বিষয়টা কেমন হয়, একবার ভেবে দেখেছেন! সম্প্রতি এমনই কিছু বিষয় নিয়ে নিজের মতো করে কিছু কথা বলেছেন পরশ সেই মঞ্চে। তিনি আরো কথা বলেছেন শেখ হাসিনা এবং দলকে নিয়ে তার যে আদর্শ এবং যে দায়িত্ব সে সম্পর্কে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। আমাদের দলে অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছেন, যারা বিভিন্ন সময়ে শোষিত, নিপীড়িত ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। আমাদের উচিত তাদের সম্মান করা ও তাদের প্রকৃত মূল্যায়ন করা। মঙ্গলবার দুপুর বারটায় বরগুনা শহরের টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ আরো বলেছেন, এ সংগঠনে ত্যাগী নেতারা এখনো শোষিত ও বঞ্চিত হবেন আর দলে ভুঁইফোড় অনুপ্রবেশকারীরা রাজত্ব করবে এটা মানা যায় না। যুবলীগ মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে পেরেছে কিনা তা আপনারাই মূল্যায়ন করবেন। মানবিক যুবলীগ অন্ধকার কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবমান। ভবিষ্যতে যুবলীগ বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। যুবলীগের দু’দয়িত্ব, প্রথমত শেখ হাসিনাকে রাজপথে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করা আর দ্বিতীয়ত তার অর্জনগুলোকে রক্ষা করা। বরগুনা জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বরগুনা শহরের টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি মেয়র কামরুল আহসান মহারাজের সভাপতিত্বে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ সুলতানা নাদিরা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ।
পরশের মতে আওয়ামী যুবলীগে সেসব অত্যাচার নিপীড়ন সহ্যকারি বিদ্রোহী নেতা আছেন তাদেরকে যোগ্য পদে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতর্ক থাকলেও পরশ বলেছেন তাদেরকে সম্মান করতে। তবে তিনি যে দায়িত্ব দুটির কথা বলেছেন যুবলীগ করার, এখন দেখার বিষয় তিনি শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখতে পারেন কিনা। আর এভাবে যদি যুবলীগ তাদের আদর্শ তাদের দায়িত্ব ধরে রাখতে পারে তাহলে হয়তো সেটা ভবিষ্যতে আম্লীগের জন্য মাইলফলক একটা অবদান হয়ে থাকবে।