এক যুবক ও যুবতির সাময়িক আনন্দের বলি হলো ৯ বছরের তাকমিনা। জানা গেছে ওই যুবক ও যুবতি নির্জনে খারাপ অসামাজিক কাজ করছিলো। হঠাৎ তাদের এমন খারাপ কার্যক্রম দেখে ফেলে তাকমিনা। তবে সেই খারাপ দৃষ্য দেখে ফেলাই তার জীবনে কাল হয়ে দাড়ায়। ওই যুবক যুবতির হাতে নিথর হতে হয় তাকে।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৯ বছর বয়সী তাকমিনা আক্তার লিজার সেই হ//ত্যার রহস্য উদঘাটনের পাঁচ মাস পর খুলনায় প্রধান আসামি তকবির হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার রাতে গ্রেফতারকৃত তকবির হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তকবির হাসান আইলাবাই এলাকার সাইদুর রহমান ওরফে মন মিয়ার ছেলে। ২৩ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মি খুলনা জেলার খলিসপুর এলাকায়।
আদালতের ভাষ্যমতে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আহাদ জননের সঙ্গে তকবিরের একই গ্রামের এক তরুণীর পরকীয়া ছিল। তাদের সম্পর্কের সময় এক বিকেলে তারা একে অপরকে দেখতে গেলে মেয়ে লিজা তাদের একসাথে দেখে। পরে লিজা তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলেন।
পরে মেয়েটির সঙ্গে তকবিরের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছরের ২১ জুলাই সকাল ৭টার দিকে তাকবীর শিশু লিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির পাশে বাঁশের ঝোপে লাশ ফেলে আত্মগোপন করে। এ ঘটনায় লিজার বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর তিনি খুলনায় পালিয়ে একটি চায়ের দোকানে কাজ করেন। পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে সতর্ক অভিযানে তাকে গ্রেফতার করে। রোববার রাতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে প্রথমে হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এই ঘটনা তার প্রধান আসামির সাথে আরো এক সহযোগী ছিলো সে ছয় মাস আগেই পুলিশ কর্তীক দৃত হয়। তবে প্রধান আসামি থাকে পলাতক। তবে পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবশেষে আইনের আওতায় আসতে হলো তাকে।