চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছেলে মোহাম্মদ আখের জীবিকার তাগিদে জার্মানীতে পাড়ি জমান। সেখানেই তিনি তার জীবন চলার সঙ্গী এলিনাকে খুঁজে পান। তারা ২০১৯ সাল থেকে একে অপরের কাছে আসেন। এই দম্পতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রকোপ কমে যাওয়ার পর বাংলাদেশে আসেন। তারা বাংলাদেশে আসার পর তারা বাঙালি রীতিতেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
পশ্চিম জার্মানিতে ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন আখের। আসলে ওই বাড়িটা ছিল এলিনার খালার। সেই সূত্র ধরেই এলিনার সাথে আখেরের প্রথম দেখা হয় এরপর প্রেম। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে বাড়িতে আসেননি আখের। বর্তমানে সংক্রমনের প্রকোপ অনেক কমে গিয়েছে তাই আখের তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে দেশ এসেছেন।এই সুযোগে ষোলোআনা বাঙালিয়ানা মেজাজে বিয়ে সেরে ফেললেন এই যুগল।
সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোহাম্মদ আখেরের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। ঘোড়ার গাড়িতে করে বিয়ের মঞ্চে ‘এন্ট্রি’ নিয়েছিলেন এলিনা। যাইহোক, বর এসেছিলেন একটি গাড়িতে। অন্যদিকে বরযাত্রীদের জন্য রিকশার ব্যবস্থা করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে বলিউডের গানও শোনা গিয়েছিল। ধুমধাম করে বিয়ে করলেন বাঙালি যুবক এই জার্মান তরুনীকে।
এলিনা যেমন সুন্দরী তেমনি একজন দক্ষ নাবিক! বাংলাদেশে নৌকা ভ্রমণে যেতে দেখা গেছে তাকে। তিনি একটি নৌকাও চালান। দম্পতি তাদের ফে”সবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। এলিনা ইংরেজিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষরা সকলেই অত্যন্ত আপন করে নিয়েছেন। তারা আমাকে তাকে কাছে টেনে নিয়েছে সেটা ভাবতে ভাল লাগছে।’ এলিনা বাঙালি খাবারও খুব পছন্দ করেছে। এলিনার কথায়, ‘তালের রুটি, বিরিয়ানি আমার অত্যন্ত প্রিয়।’
এদিকে, মোহাম্মদ আখের তার প্রেমিককে বিয়ের মঞ্চে বাঙালি বধূর সাজে দেখে খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘ওর নানির বাড়িতে ভাড়া থাকতে গিয়ে আমরা প্রেমে পড়েছিলাম। এরপর সম্পূর্ণ বাঙালি পোশাকে বিয়ে করছি। ভালো লাগছে খুব। তিনি জার্মানির একটি হোটেলে কাজ করছেন। আখের পরিবারের সদস্যরাও বিদেশি বৌমার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ।
আখেরের এক আত্মীয় বলেন, আমাদের বৌমা কেমন হবে সেটা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখানে আসার পর আমরা তাকে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে পেয়েছি। আমরা সকলেই তাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। এদিকে বিদেশি বধুকে দেখতে আশেপাশের এলাকার মানুষ ভিড় করতে শুরু করছে। আখেরের বাড়িতে নতুন বৌমাকে সবাই দেখার পর তাদেরকে আশীর্বাদ করছেন।