হরতাল-অবরোধে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হ/ত্যা করে বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধের চেয়েও জঘন্য অপরাধ করছে। এ কারণে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
একই সঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি বন্ধ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সংগঠনটি। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
সভায় বক্তারা বলেন, ভালো প্রস্তুতি থাকলেও হরতাল-অবরোধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং প্রত্যাশিত ফলাফল থেকে বঞ্চিত হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষকরা। একই সঙ্গে সারাদেশে সন্ত্রাস ও উদাসীনতা বন্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও উদাসীনতায় যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
সভায় বাংলাদশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফসের ড. মাহবুবুর রহমান, চাঁদুপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নাসিম আক্তার, বাংলাদশে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শাহ আলিমুজ্জামন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, বাংলাদশে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোকাদ্দেম হোসনে, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, শেকৃবির সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত হুদা, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শামীম আরা হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। তাদের অপরাজনীতি এবং বিদেশীদের উপর নির্ভরতা দেশের মানুষের প্রতি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।