যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যা চায়, বাংলাদেশের জনগণও তাই চায়, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন। সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী ও আরেক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়রা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন। এ বিষয়ে এবং ভারতের প্রভাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমাকে এটা বলতে হবে যে, আমরা এটা পরিষ্কার করেছি- যেমনটা আমরা প্রতিটি সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি তেমনিভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কূটনীতিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে বাধ্যবাধকতা মেনে চলা। আমি আগের দিন বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সবার। প্রতিটি রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যা চাই, বাংলাদেশিরাও তাই চায়। তাহলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন।
তাকে আবার প্রশ্ন করা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা এবং বিরোধী শীর্ষ দুই নেতাসহ গ্রেপ্তারি অভিযান নিয়ে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তাকে প্রশ্ন করা হয়- মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা প্রতিদিনই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। তাহলে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে আপনি কীভাবে বিশ্বাস করেন?
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন,অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আগে যা বলেছি তা ছাড়া আপনার প্রথম প্রশ্নের জবাবে কিছু বলবো না। আমরা বিশ্বাস করি এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলবো, জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সহিংসতার বিষয়গুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে।
বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি এবং চালিয়ে যাব। আমি তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাব।
অন্য এক সাংবাদিক সারা দেশে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার রিপোর্ট করেছেন। এ বিষয়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না জানতে চাওয়া হলে। জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, কারো বিরুদ্ধে ভিসা বা অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আগে আমরা তা ঘোষণা করি না।” আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি, যা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে।