বাংলা সিনেমার অন্যতম সুপারস্টার অভিনেতা শাকিব খান। অভিনয় কর্মজীবনে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি, আর সেই সঙ্গে কুড়িয়েছেন অসংখ্য ভক্তের ভালোবাসা। এই মুহূর্তেই দেশের বাইরে রয়েছেন তিনি। চলতি মাসের গত ১৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্টের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এই অভিনেতা।
সেখাকার একটা ঘটনা তাকে খুব স্পর্শ করেছে। সেই গল্পই বলেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে।
শাকিব খান বলেন, ‘হোটেল লবি দিয়ে যাচ্ছিলাম। দূর থেকে দেখে দৌড়ে এসে এক তরুণ আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। শুরুতে তিনি কথা বলতে নার্ভাস হচ্ছিলেন। কথা বলে জানতে পারলাম তার বয়স ২০-২১ বছরের মতো। তিনি ছোটবেলা থেকে আমেরিকায় কাজ করছেন। খুব সাধারণ কাজ করলেও তিনি একজন অসাধারণ মনের অধিকারী। তার রক্ত পানি করা উপার্জনে দেশে সংসার চলে।’
‘যে বয়সে তার লেখাপড়া করার কথা, সেই বয়সে পরিবার-স্বজনদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সবকিছু ত্যাগ করে দূর প্রবাসে থেকে পরিবারের হাল ধরেছেন। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভারটাইম খেটে খেয়ে না খেয়ে অর্থ পাঠিয়ে তিনি তার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। অবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে। এতেই তার আত্মতুষ্টি! তার চোখেমুখে সেই তৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট দেখছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের আমেরিকা ভ্রমণে আমাকে স্পর্শ করা সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি ছিল এটি। এ ছাড়া প্রায়ই এখানে অচেনা মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়। যারা আমাকে হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসা জানায়। ক্ষণিকের দেখায় পাশে পেয়ে সুখ-দুঃখের অনুভূতি জানায়। এসব গর্বিত মানুষদের সঙ্গে কথা বললে আমিও মনের মধ্যে শীতল প্রশান্তি পাই।’
‘চাকচিক্য আর অট্টালিকার এই শহরের নানান কোণে লুকিয়ে আছে আমার দেশের গর্বিত এসব মানুষেরা। তাদের কারণে সমৃদ্ধ হচ্ছে আমার বাংলাদেশের অর্থনীতি। সোনার বাংলা গড়তে তারা যে কতটা ভূমিকা রাখছেন হয়তো তারা তা জানেন না। অথচ নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার চোখে এই মানুষগুলো আসলেই সত্যিকারের হিরো,’ যোগ করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালবাসা’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর একের পর এক উপহার দিয়ে গেছেন একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা। এদিকে গুণী এই তারকার অভিনীত ‘আগুন’ ও ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে।