মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি। বাংলাদেশীরা যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে- এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার খবর প্রকাশ করেছে বিদেশি (ভারতীয়) একটি গণমাধ্যম। সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশ কীভাবে আরেকটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাতে পারে? এটি কি কোনো রীতিতে পড়ে? পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ ধরনের তথ্য শোনা গিয়েছিল। দূতাবাস কি বিদেশের গণমাধ্যমের ওই খবরের বিষয়ে মন্তব্য করবে?
এসব প্রশ্নের জবাবে ব্রায়ান শিলার বলেন, বাংলাদেশে অনলাইন আউটলেট অবরুদ্ধ হওয়ার প্রতিবেদন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবগত রয়েছে। মঙ্গলবার উপ-সহকারী সচিব আফরিন আক্তার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করে। নির্বাচন শুধুমাত্র ভোটের দিনে কীভাবে পরিচালিত হয় তা নয়, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগও।
তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ অন্যরা বহুবার বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা এক দলের বিপক্ষে আর অন্য দলের পক্ষ নিচ্ছি না বা এখানে আমাদের বিশেষ কোনো পছন্দ নেই। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ তাদের নিজেদের নেতা নির্বাচন করতে সক্ষম হোক।