, বাংলাদেশের এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা সফরের জন্য ভিসা চাওয়ার আবেদন প্রায় এক মাস আগে ঢাকার দুটি বিদেশী দূতাবাসের কনস্যুলার কর্মকর্তারা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন,এমনটাই দাবী করে খবর প্রকাশ করেছে ভারতের নিনিউজ।
প্রকাশিত খবরের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মার্কিন প্রনীত নতুন ভিসা নীতি আসার চার মাসের মাথায় এমন ঘটনা ঘটলো।
এই বছরের ২৪ মে প্রকাশিত ভিসা নীতিতে জানানো হয় , আগামী নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনো রকম অনিয়ম, হস্তক্ষেপ ও বাধা দান করা হলে এর সঙ্গে জড়িত যেকোনো ব্যক্তি ও তার পরিবারকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এটি অনুসারে ভুয়া ভোট প্রদান, ভোটার ও নির্বাচনী এজেন্টদের বাধা দান, নির্বাচনী সমাবেশে হামলা, গায়েবি মামলা প্রদান, নির্যাতন-নিপীড়ন, মতপ্রকাশে বাধা দান ইত্যাদি কাজ নির্বাচনে অনিয়ম ও হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এসব কাজে জড়িত থাকলে সরকারের সব পর্যায়ের ব্যক্তিরা (যেমন: মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী) এবং বিরোধী দলেরও যে কেউ এই ভিসা নীতির তোপে পড়তে পারেন।
এয়ার চিফ মার্শাল হান্নান হলেন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র অফিসার যিনি মার্কিন ও কানাডার ভিসা প্রত্যাখিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের বিশ্বস্ত সূত্র মতে বিষয়টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিনিউজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । খবরে বলা হয় মার্কিন এবং কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ শুধু হান্নানের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেনি, তারা তার স্ত্রীকে ভিসাও প্রত্যাখ্যান করেছে। হান্নান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ২০২১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) প্রধান নিযুক্ত হন।
সূত্রের মতে, হান্নানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা সফরের উদ্দেশ্য ছিল বিএএফ-এর জন্য চারটি বেল হেলিকপ্টার কেনার উদ্দেশ্য যাচাই বাছাি করা , তবে ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী চীনের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান সামরিক হার্ডওয়্যার কিনছে, যা একই সাথে ভারতের জণ্য উদ্বেগজনক।
২০২২ সালের আগস্টে, একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ চীনের চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন থেকে ৩৬ টি F-7BGI মাল্টি-রোল বিমান কিনেছে।
যদিও এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি ব্যক্তি এবং কর্মকর্তাদের উপর ভিসা বিধিনিষেধের চেয়ে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর ব্যবস্থা আরোপ করার কথা বিবেচনা করবে কিনা,
সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেছিলেন যে “বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যারা চাইছেন তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে” নতুন ভিসা নীতি চালু করা হচ্ছে।
সূত্র নিনিউজ https://nenews.in/opinion/us-canada-recently-denied-visa-to-bangladesh-air-chief-hannan/2738/