আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিলার তার জবাবে কৌশলে এড়িয়ে যান।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে। আর ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারে দ্বারে যাওয়ার গল্প সবারই জানা।
এদিকে, এই সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে পঞ্চম ‘টু প্লাস টু’ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেন। এছাড়া বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। বর্তমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদক। কিন্তু মিলার কোনো উত্তর না দিয়ে এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
এদিকে একতরফা দাবিতে অবরোধের নামে সারাদেশে যানবাহন জ্বালিয়ে দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। স/ন্ত্রাস ও সং/ঘাতের কারণে পুরোনো ধাঁচের আ/গুন জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের কোনো বিকল্প দেখছে না ওয়াশিংটন। কিন্তু সমাধান কি হবে? এমন কি জাদুর কাঠি আছে, যাতে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিএনপি-জামায়াতের এমন স/হিংস কর্মকাণ্ড দেখতে না পায়। দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এমন প্রশ্নে আবারও পুরনো রেকর্ড বাজালেন মার্কিন মুখপাত্র।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্বাস করি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এছাড়া স/হিংসতামুক্ত নির্বাচন সবারই কাম্য।