প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি কারো করুণাতে নয়, জনগণের ম্যান্ডেট (ভোট) নিয়ে জনগণের ক্ষমতায় এসেছেন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কারো ক্ষমতায় বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। আমি জনগণের শক্তি, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এই আমাদের স্বার্থ. তাই কে মঞ্জুর করেছে আর কে দেয়নি তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিমালার ঘোষণায় শুধু সরকারি দলই নয়, বিরোধী দলও যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে অন্তত একটি ভালো কথা এসেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এটা – বিএনপি যেমন 2013-14 সালের নির্বাচন ঠেকাতে অগ্নিসংযোগ করেছিল এবং 2018 সালের নির্বাচন ঠেকাতে তারা একই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছিল। পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হয়েছিল, 500টি ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, 3 হাজার 835টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছিল, সহ মানুষ। এই ভিসা নীতির ফলে যানবাহনের যাত্রীরা পুড়ে মরেছে, অন্তত এবার হয়তো বেশিদূর যেতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যদি শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে মনে রাখতে হবে আমি কারো ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের শক্তিতে ক্ষমতায় এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। এবং আমরা সেই সচেতনতা তৈরি করেছি। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অনেক নেতাকর্মীর রক্ত দিয়ে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে নিয়ে এসেছি।
স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা, ভোটাধিকার সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজগুলোই আমরা করেছি। ‘আমি যাকে চাই তাকে ভোট দেব’ আমার স্লোগান। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা আওয়ামী লীগের জন্যই হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আর আমরাও জনগণের ভোটে সরকারে এসেছি। কেউ আমাদের ধরিয়ে দেয়নি। তাই আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ হোক।
কিন্তু তারা পুলিশকে আঘাত করে। পুলিশ বাধা দিলে তাও প্রচার করা হয়। কিন্তু এখন মিডিয়ার যুগ, মিডিয়ার উচিত সব তথ্য ভালোভাবে দেখানো। যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় তারাও তা দেখবে। একতরফা তাকাবেন না। আমাদের দেখতে হবে কে আগে শুরু করেছে। তারপর তারা অনুমোদন দেয়।
আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেত্রী হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দলকে নেতৃত্ব দেবেন কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার নেতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি বিশ্বাস করি না যে আমি ছেলে মেয়েকে চেয়ারে বসিয়ে দেব।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই চান না রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দেশে ফিরুক। আমি বুঝি শরণার্থী হওয়া কতটা কঠিন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।