সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে বিচারবহির্ভূত হ/ত্যাকান্ড, গু/ম, খু/নের। বিষয়টি নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে ও প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘে চিঠি পাঠায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে হাজার হাজার লোক মা/রা যায় গু/লিতে মন্তব্য করে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ পুলিশের গু/লিতে নি/হত হয়। অন্যদিকে গত তিন বছরে বাংলাদেশে কাউকে বিচারবহির্ভূতভাবে হ/ত্যা করা হয়েছে বলে তার জা/নে নেই। বুধবার প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতিসংঘের আ/ঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বিশ্বাস। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম, কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি রশিদ আসকারী, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলা ২৪ এর মিডিয়া পরিচালক আফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
যু/দ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের পাঁচটি শক্তিশালী রাষ্ট্র রয়েছে। তারা আইন করেছে এমন ভাবে যাতে তারা নিরাপত্তা পরিষদ চালাতে পারে। সেখানে গণতন্ত্র নেই। নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠন আজ সময়ের প্রয়োজন। তিনি বলেন, অনেক দেশ জাতিসংঘকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ইউক্রেন যু/দ্ধের কথা বলি। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জাতিসংঘে আলোচনা হলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সমস্যায় পড়ত না। যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আক্রান্ত।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার অর্ধেক। যুক্তরাষ্ট্রে নি/খোঁজ হয় ক/য়েক লাখ লোক। বাংলাদেশে ৭৬ জন নি/খোঁজ হয়েছেন। আমি তাদের আট ফিরে পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ নি/খোঁজ হয় কিন্তু তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।তিনি বলেন, নিজেদের দিকে না তাকিয়ে অন্য দেশের ব্যাপার মাথা ব্যাথা করছে তারা।