বাংলাদেশে গেল কয়েক বছর আগে ঘটে যায় আলোচিত একটি ঘটনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পুলিশের আইজিপি সহ দেশের অনেককে দেয় নিষেধাজ্ঞা। আর সেই থেকেই এ নিয়ে শুরু হয় নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। এ দিকে এবার নিষেধাজ্ঞা না কাটা হলেও যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এবার পাওয়া গেল নতুন এক সংবাদ। এ নিয়ে বিদেশ বসবাসরত একজন সাংবাদিক দিয়েছেন একটি স্ট্যাটাস আর ভিডিও। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনি আর ভিডিও তুলে ধরা হলো:-
চরম মানবাধিকার লংঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটিতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের চিফ অব পুলিশ সামিটে (ইউএনকপ) আইজিপি বেনজির আহমেদের সম্মেলনে অংশ নিতে নাম প্রস্তাব প্রসঙ্গে সংস্থাটির মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বলেছেন, ” সভায় প্রতিনিধিত্ব কে করবে জাতিসংঘের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়না বরং সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজ দেশের প্রতিনিধি মনোয়ন দিয়ে থাকে। তবে ভিসা এবং প্রবেশের অনুমতি দেবার এখতিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের।”
সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে পুলিশের আইজিপির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং সম্মেলনে যোগ দিতে সে দেশে যাবার অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুখপাত্র ডোজারিক এসব কথা বলেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতিসংঘ স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকু ফজল আনসারী জানতে চান- বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে প্রতিনিধি হিসেবে দেশটির পুলিশ প্রধান বেনজিরের নাম ঘোষণা করেছে। চরম মানবাধিকার লংঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইজিপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট দুই তরফ থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আমার অবাক লাগছে- মানবাধিকার লংঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবার পরও তিনি কীভাবে এই আমন্ত্রণ পেলেন এবং আদতে কী তিনি ওই সম্মেলনে যোগ দেবার সুযোগ পাবেন?
জবাবে ডোজারিক বলেন, “এখানে দুইটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র অর্থাৎ নিজ দেশ যে কাউকে সংস্থাটির সম্মেলনে যোগ দেবার জন্য বাছাই করতে পারে। এটা জাতিসংঘের তরফে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়না। আর পরের বিষয়টি হলো-প্রবেশের অনুমতি আর ভিসা দেবার প্রশ্ন। এ বিষয়টি নিয়ে এখানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র মিশনকে প্রশ্ন করা যেতে পারে। কারণ তাঁরাই ভিসা বা প্রবেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে ।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপিকে আমন্ত্রন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই কারনেই আবার নতুন করে এ নিয়ে শুরু হয়েছে বেশ আলোচনা সমালচনা।