বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের টক অব দা টাউন হচ্ছেন ওয়াসার এমডি তাকসিম। তার নাম বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। আর সেই সব তথ্যে জানা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার রয়েছে ১৪ টি বাড়ি। আর এ নিয়ে এখন সবখানে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। এ নিয়ে এবার একটি লেখনী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
ওয়াসার এমডি তাকসিম সাহেব ভালো না খারাপ, সৎ নাকি অসৎ জানিনা।ওনার হাজার টাকা আছে,নাকি হাজার কোটি আছে তাও জানিনা।এটা আমার জানার কথাও না। দেশের এনবিআর অথবা আমেরিকার আইআরএস এই তথ্য দিতে পারবে।
সম্পদ বা টাকা থাকা দোষের না, তবে অবশ্যই এর বৈধতা থাকতে হবে।বৈধতা দেখার জন্য নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ আছে,যা আগেই উল্লেখ করেছি। বৈধতা-অবৈধতা আমি যাচাই করতে পারবো না।
তাকসিম সাহেবের ১৪টা বাড়ি আছে,কি নাই-তা আমার জানা নাই।তবে,যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের মালিকানা বের করা খুব সহজ।ঠিকানা দিয়ে গুগুল সার্চ,সংশ্লিষ্ট কাউন্টি বা সিটির ওয়েব সাইটে গেলেই মালিকানা সংক্রান্ত বিস্তারিত পাওয়া যায়।সুতরাং কোন মন্তব্য করার আগে একটু চেক করে নেয়া ভালো।
তবে তাকসিম সাহেবের সমালোচক হবার যথেষ্ট কারণ আছে। প্রথম কারণ,তিনি দীর্ঘদিন একই পদে আছেন।তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করে, দেশ থেকে সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্যও সমালোচিত।
আরো অযোগ্যতা(!) হলো, তিনি দেখতে সুদর্শন,স্মার্ট, মেধাবী এবং ডেম কেয়ার টাইপের মানুষ।গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওনাকে বহুবার দেখেছি, সালাম দিয়েছি।উনি সালামের উত্তর দেয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্নও, হয়তো আমাদেরকে ভাবতেন না।এই রকম মানুষের সমালোচক একটু বেশিই থাকে।
প্রসঙ্গত ,এ দিকে এই সম্পদের তথ্য নিয়ে এবার ব্যাখ্যা প্রধান করেছেন তাকসিম নিজেই। তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে তার একটি মাত্র বাড়ি রয়েছে আর সেই বাড়িটিও তার স্ত্রীর নামে। আর বাকি ১৩ টি বাড়ির দেয়া তথ্য সঠিক নয়। তবে এ নিয়ে এখনো রয়েছে নানা ধরনের ধোঁয়াশা।