এমারসন পরিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম জমির মালিক। পরিবারটি কাঠ উৎপাদনকারী সিয়েরা প্যাসিফিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক। ‘ল্যান্ড রিপোর্ট’ নামের একটি ম্যাগাজিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় জমির মালিকদের পরিচয় প্রকাশ করেছে। প্রতি বছর তারা ভূমি অনুসারে 100 ধনী আমেরিকানদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। গত দুই বছরের মতো এ বছরও শীর্ষে রয়েছে এমারসন পরিবার।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এমারসন পরিবার ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন এবং ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ২.৪ মিলিয়ন একর জমির মালিক। যা প্রায় বাংলাদেশের একটি বিভাগের সমান! কার্লি এমারসন ১৯৪৭ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। পরিবারটি ২০২১ সাল থেকে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ওই বছর সেনেকা টিম্বার কোম্পানি থেকে ওরেগনে এক লাখ ৭৫ হাজার একর জমি কিনে এমারসন পরিবার।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মিডিয়া মুঘল জন ম্যালোন। তিনি ওয়াইমিং, নিউ মেক্সিকো, ফ্লোরিডা এবং কলোরাডো জুড়ে ২.২ মিলিয়ন একর জমির মালিক। ম্যালোন লিবার্টি মিডিয়া কর্পোরেশনের মালিক।
শীর্ষ তিনের মধ্যে রয়েছেন সিএনএনের প্রতিষ্ঠাতা টেড টার্নার, যিনি প্রায় দুই মিলিয়ন একর জমির মালিক। কিছু বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে আকারে তার জমি প্রায় ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কের সমান।
রিয়েল এস্টেট ও স্পোর্টস টাইকুন স্ট্যান ক্রোয়েন বেশ কয়েকটি বড় খামারের মালিক। তার আছে ১.৭ মিলিয়ন একর জমি। তালিকায় তিনি আছেন চতুর্থ স্থানে। রিড পরিবার ১.৬ মিলিয়ন একর নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে আরও চারজন জমির মালিককে দেখা গেছে যাদের দখলে রয়েছে এক মিলিয়ন একরের বেশি জমি। এরমধ্যে আছেন কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা আরভিং পরিবার (১.২৭ মিলিয়ন একর), বাক ক্ল্যান (১.২৪ মিলিয়ন একর), সিঙ্গেলটন পরিবার (১.১ মিলিয়ন একর) এবং ব্র্যাড কেলি (এক মিলিয়ন একর)।
তালিকায় অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস রয়েছেন ২৫তম স্থানে। তার আছে ৪ লাখ ২০ হাজার একর জমি। মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের আছে দুই লাখ ৭৫ হাজার একর জমি। তিনি আছেন ৪২তম স্থানে। ২০২০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে বড় কৃষিজমির মালিক ছিলেন। চীনা নাগরিক চেন তিয়ানকিয়াও প্রথমবারের মতো এই তালিকায় প্রবেশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তার আছে প্রায় দুই লাখ একর জমি।