বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে তাতে খুশি নন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের থামানো যায়নি, শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামানো যাবে না। আমরা কারো নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আমরা আমাদের সংবিধানের কথা চিন্তা করি। আমরা আমাদের সংবিধানকে অনুসরণ করব। আমরা কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে, ততদিন আমরা লড়ে যাব। এই বীরের দেশে বীর জনতা, কারও কাছে মাথা নত করবে না।”
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভেনিজুয়েলায় সরকারের পতন ঘটায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাল্টা সরকার চেষ্টা করেও বসাতে পারেনি। ফিলিস্তিনে নিষেধাজ্ঞার কারণে শিশুরা সকাল, দুপুর ও রাতে বাবার সামনে মারা যাচ্ছে। বছরের পর বছর রক্তে ডুবে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। আপনার নিষেধাজ্ঞা দুই সুদানী জেনারেলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করেনি। আপনার নিষেধাজ্ঞায় সোমালিয়ায় প্রতি মিনিটে একজন মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। সেটা তো বন্ধ করতে পারেননি। রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেননি।”
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের কথার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আজকে মির্জা ফখরুল ধমক দিয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা বলে! নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল! আশ্চর্য ব্যাপার। আমেরিকা মনে হয় তারে এজেন্সি দিয়েছে; নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে মির্জা ফখরুলকে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলটি ‘রাজনীতি’ করছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি যতটা কথা বলছে তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করেছে। বিএনপি খালেদা জিয়াকে নিয়ে নিজেদের রাজনীতি করতে চায়। এটাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।