আবারো এক নতুন কথা বলে আলোচনায় এসেছেন দেশের বহুল আলোচিত এবং সমালোচিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন যাদের নিজেদের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের মাতব্বরি মানায় না। আজ রোববার সকাল (৮ জানুয়ারি) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গণতন্ত্রী মনে করেন, তাদের দেশে গণতন্ত্র খুবই দুর্বল। আবার, ৭০-৮০ শতাংশ রিপাবলিকান মনে করেন যে গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। তাদের দেশে ৫০ শতাংশেরও কম ভোট দিয়েছে। আর আমাদের দেশে ৭০-৮০ এমনকি ৯০ শতাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। যারা নির্বাচন নিয়ে গর্ব করেন, তাদের আগে আয়নায় নিজেদের দেখা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরো বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন বেশি অংশগ্রহণমূলক ও স্বতঃস্ফূর্ত। আমেরিকায় নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে থেকে প্রচার শুরু হয়। আর আমাদের দেশে প্রচার শুরু হয়েছে এক বছর আগে। এ দেশের জন্ম হয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি। এই দেশের প্রতিটি মানুষের শিরায় এই নীতিগুলো আছে। অন্যদের আমাদের উপদেশ দেওয়ার দরকার নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কোনো গোপনীয়তা নেই। ইচ্ছা করলে যেকোনো খাবারের ওপর নজরদারি করা যায়। আমাদের দেশ গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু। তারা আমাদের অনুসরণ করতে পারে। আওয়ামী লীগ কখনোই নির্বাচন ছাড়া সরকার গঠন করে না। আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের অভাব থাকতে পারে। তারা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে না। তাই তারা প্রায়ই অভদ্র মন্তব্য করে।
প্রসঙ্গত, আর আগেও বেশ কিছু বিতর্কিত কথা বলে বার বার সবার সমালোচনার খোরাক হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে বেশ কিছু দিন ধরে চুপ থাকলেও আবারও যুক্তরাষ্টের অধিক হস্তক্ষেপের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।