ওয়াসার এমডি তাকসিম এখন সারা দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তার নিজের বেশ কিছু বিতর্কটি কর্মকাডের কারনে। জানা গেছে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি থাকার সংবাদ প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। কর্মকর্তা আজকার পত্রিকাকে বলেছেন, “আজকের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৪ টি হাউস রিপোর্টকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চলমান তদন্তের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, এই বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘হুন্ডিসহ বিভিন্ন উপায়ে বৃহৎ বৈদেশিক ঋণ প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন উপায়ে আমেরিকায় পাচারের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। ১৪ টি বিলাসবহুল বাড়ি এবং গাড়ি কেনা। অর্থ পাচারের অভিযোগ সংযুক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি দৈনিক সমকাল প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার খবর প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি আদালত বিবেচনায় নেওয়ার পর দুটি অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান হাইকোর্ট। এ সময় আদালত এ বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে দুদককে জানাতে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বিদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করা। সেখানে বসে রাজধানী ঢাকার ওয়াসার কাজ করা এ যেন নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাকসীমের জন্য। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি করে যাচ্ছিলেন এই ধরনের অরাজকতা। তবে এখনো তাকে নিয়ে কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।