বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতার বাহিরে রয়েছে। ক্ষমতার বাহিরে থাকার কারনে তার ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা হাজার হাজার মামলায় জর্জরিত বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যার কারনে তারা মাঠে আন্দোলনে চাঙ্গা হতে পারছে না। তাছাড়া দলের প্রধান নেতৃত্ব মামলা সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে সংকট তৈরী হয়েছে। এবার তারেক রহমানকে নিয়ে যুক্তরাজ্য সম্পর্কে যা বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
কোন স্ট্যাটাসে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে আছেন—সামান্য এই তথ্যটি দেশটির কাছ থেকে না পাওয়াকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তার দাবি, সাংবিধানিক কারণে কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রত্যাশীকে ব্রিটেন যদি ফেরত নাও দেয়, বহুমাত্রিক সম্পর্কের খাতিরে হলেও তার অবস্থান বাংলাদেশকে জানানো উচিত।
ওয়ান-ইলেভেন দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার হন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি।
এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টসহ একাধিক দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। একুশে আগস্ট গ্রে/নেড হা/মলা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
সিঙ্গাপুরে অর্থ-পাচারের মামলায় ঢাকার একটি আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে দেশে আনার নির্দেশ দেন। সরকারও বিভিন্ন সময়ে তাকে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন “আমরা খুব দৃঢ়ভাবে মনে করি, যুক্তরাজ্যের উচিত আমাদের পরিষ্কারভাবে জানানো যে, একজন মানুষ সেখানে কি স্ট্যাটাস নিয়ে আছে। ন্যূনতম তথ্য যদি বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে দিতে ব্যর্থ বা অপরাগ হয়, তাহলে এটা অত্যন্ত দুঃখের হবে।
দু’দেশের সম্পর্কের খাতিরে হলেও তারেক রহমানের তথ্য চায় সরকার। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, সে সম্পর্কের জায়গা থেকে শুধু দাবি নয়, সেগুলিকে স্বতঃপ্রণোদিত বলা উচিত। কিন্তু তার স্ট্যাটাসটা ন্যূনতম জানাবেন না, সেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে ঢাকাস্থ যুক্তরাজ্য দূতাবাসে বিভিন্ন সময় জানতে চাওয়া হলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরে তারেক রহমান বসবাস করছেন কিন্তু তার সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হলেও কোন তথ্য দেইনি যুক্তরাজ্য এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের সাথে ঐতিহাসিক সম্পর্ক থাকার সত্ত্বেও তথ্য না দেওয়াটা দুঃজনক।