যুক্তরাজ্য বিশ্বের অন্যতম ধনী ও শক্তিধর দেশ। যুক্তরাজ্যে এখনো রয়েছে রাজ বংশের প্রথা। দেশটি সবদিক থেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ। যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের খুব ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি জানা গেছে বিপর্যয়ের মুখে টানা ৪ দিন বিদ্যুৎ থাকবে না যুক্তরাজ্যে।
আগামী জানুয়ারীতে যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের তীব্র ব্যর্থতার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই ব্রিটিশ সরকার আগামী শীতে শিল্প-কারখানা এমনকি বাড়িঘরে ব্ল্যাকআউট ও লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করছে।
শীত এলেই যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এর উৎপাদনের জন্য গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে হবে। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের কারণে রাশিয়ার গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না।
এমতাবস্থায় যুক্তরাজ্যে আসন্ন শীতে জানুয়ারিতে শিল্প কারখানা ও সাধারণ পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের মতে, সরকার ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মাথায় রেখে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করছে। তা করার পরেও সর্বোচ্চ শক্তি খরচের এক-ষষ্ঠাংশ স্বল্প থাকবে।
শীতকালে গড় তাপমাত্রা কমলে নরওয়ে ও ফ্রান্স থেকে বিদ্যুৎ আমদানিও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে টানা ৪ দিন বিদ্যুৎ না থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউরো উইকলি নিউজ আরও জানিয়েছে যে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল গ্রিড বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের বিদ্যুৎ কেটে দিতে পারে।
অন্যদিকে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে, যুক্তরাজ্যে বার্ষিক বিদ্যুতের বিলও শীত শুরু হওয়ার আগেই অনেকের জন্য বেড়ে গেছে। অনেক পরিবার ইতিমধ্যেই রেকর্ড বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ ছাড়া বিদ্যুতের দাম দ্রুত বাড়বে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় গ্রিড। এছাড়াও, ফ্রান্স, নরওয়ে, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসের সাথে সংযোগকারী বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন হ্রাস পেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
সব মিলিয়ে একদিকে গ্যাস সংকট অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান গ্যাস সংকট বরিসের উত্তরসূরি ট্রাস বা সুনাকের সামনে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ মানব জীবনের খুবই অপরিহার্য একটি অতি ব্যবহার্য জিনিস। বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমানের উন্নত বিশ্ব কখনই কল্পনা করা যেত না। জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দরকার হয়। যুদ্ধ ও হানাহানির কারণে সারা বিশ্বে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে।