লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদের কথা স্বীকার করে সাবেক ভূমিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিদেশি সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন এবং ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। তারপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ বলেন, হলফনামা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে। বিদেশী সম্পদের তথ্যের জন্য এটির একটি পৃথক ছক নেই। অতিরিক্ত তথ্য দিতে যাবেন কেন?
তিনি আরও বলেন, বিদেশে তার আলাদা আয়কর নথি রয়েছে। আর বিদেশে সম্পদের পেছনে রয়েছে ব্যাংক ঋণ।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী মন্ত্রী থাকাকালে লন্ডনে ব্যবসার ব্যাপক সম্প্রসারণ সম্পর্কে বলেন, বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের তার জন্য সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় লন্ডনে বাড়ির দাম পড়ে যায়। ব্যাংক ঋণের সুদ ক/মে যায়। সে সময় তিনি ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী মন্ত্রী থাকাকালে তার মন্ত্রণালয়ে কোনো দু/র্নীতি হয়নি বলে দাবি করেন। প্রয়োজনে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল গঠনের কথা বলেন তিনি। কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।