বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবং দেশ স্বাধীনতার সল্প সময়ে অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বৈঠকে বাংলাদেশকে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। তবে বাংলাদেশ সম্মতি দেইনি। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
লন্ডন থেকে অ/স্ত্র কেনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে সম্মতি দেয়নি বাংলাদেশ। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবে ছিল—দুটি আমাদের দেশে বানানো হবে এবং বাকিগুলো তাদের দেশে বানাবে। দ্বিতীয়ত, তারা আমাদের ডকইয়ার্ডও উন্নত করবে। তিনি বলেন, আমরা বলেছি বিষয়টি দেখবো। এখনও সম্মতি দিইনি। অন্য যে প্রস্তাবগুলো আছে সেগুলোও পরে দেখবো বলে জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকের বৈঠক হয়েছে এবং তিনি সবাইকে বলেছেন বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, খাদ্য, শিক্ষা ও জীবনের মানোন্নয়ন। এর আগে ৫ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মোনা তাসনিমের উপস্থিতিতে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে ন্যাভাল ফোর্সের কিছু জাহাজ পাঠাতে চায়। এটার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে হবে। আমরা নীতিগতভাবে সম্মত যে পাঁচটা নেবো। এরমধ্যে তিনটা তারা তৈরি করবে, দুটো আমরা করবো। আমাদের জাহাজ বানানোর ডক উন্নয়নের কাজ তারা করবে।’
দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সকল খাতই আধুনিকরন করতে নিরলস ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এমনকি বর্তমান সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হতে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ।