বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য। মাঝে মধ্যেই বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নানা দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়বস্তু নিজের সোশ্যাল ফেসবুক পেইজে তুলে ধরে থাকেন তিনি। আর এরই আলোকে সম্প্রতি আবারও একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন তিনি।
পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আওয়ামী লীগ নিজে নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবর শ্লোগান দিতো কিনা দেখেন। এখন অবশ্য ওরা যে অবস্থায় পৌছাইছে তাতে কিছুদিন পরে গো মুত্র খাইতে খাইতে জ্যায়শিরাম শ্লোগান দিলে আশ্চর্য হইবো না।
দামালের পরিচালক নাকি বলছে সে আমার লগে কথা বলে নাই। সত্য নাকি? আমি নিজে শুনি নাই বা দেখি নাই। কিন্তু তারে তো দেখছেন যে আমার পোষ্টে আইস্যা হাত জোড় করে ধন্যবাদ জানায়ে গেছিলো।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনবক্স এর মেসেজ পাব্লিক করাকে অনৈতিক বলে মনে করি কিন্তু আমারে নিজে ফোন দিয়া সিনেমা থেকে ওই শ্লোগান রিমুভ করার প্রতিশ্রুতি দিয়া পোষ্ট মুছানোর জন্য বারেবারে অনুনয় বিনয় করে এখন এই চেহারা দেখাইলে তো মুশকিল।
কিন্তু ঘটনা এইটা হইলে আমি আসলেই বিস্মিত হইতেছি তার এই আচরণে।
যাই হোক, আমার তো কানে আগ্রহ নাই জানেন। আমার আগ্রহ মাথায়। দামাল সিনেমার মাথা কে?সিনেমার গল্পটা যার আর সিনেমা বানানির পয়সা যার? গল্পটা কার? ফরিদুর রেজা সাগরের। সিনেমা বানানোর পয়সা কার? ফরিদুর রেজা সাগরের। তাইলে রাজাকারের কণ্ঠে এই শ্লোগানের সম্পুর্ন দায় ফরিদুর রেজা সাগরের, পরিচালকের না। আমি একটা রিকুয়েষ্ট করছিলাম পরিচালকরে। তার তো বুদ্ধি বেশী। তাই ডিরেক্টর আমাগো খেল দেখাইলো। বেশী চালাকি ভালো না। এখন তো দায় আপনারে নিতে হবে সাগর ভাই।
বলেন তো, ফরিদুর রেজা সাগরের সবচেয়ে বড় ব্যবসা কী? চ্যানেল আই? জ্বি না।
সাগর ভাই, সাগর ভাই। আপনার সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কিন্তু লাটে উঠবে যদি আমরা ক্যাম্পেইন চালাই যে আপনি নিজে এই সিনেমার গল্প লিখছেন আর তাতে রাজাকারের কণ্ঠে নারায়ে তাকবির শ্লোগান দিছেন। ওই শ্লোগান যদি সিনেমায় থাকে তাইলে আপনার সেই সবচেয়ে লাভের কোম্পানির গুড় কিন্তু পিপড়ায় খাইবে। আপনারে যদি মানুষ হিন্দুত্ববাদের দালাল হিসেবে চিনে তাইলে কি কাজটা ভালো হবে সাগর ভাই?
আমি যা ধরি সেইটার শেষ কিন্তু দেখি।
এদিকে এর আগে তার এক পোস্টে হাত জোর করে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টটি ফেসবুক পেইজ থেকে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেন ঐ পরিচালক। আর এটি নিয়ে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বইছে বেশ শোরগোল।