ড. অলি আহমদ একজন রাজনীতিবিদ। তিনি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্যও অগ্রনী ভূমিকা পলান করেছেন। এরই লক্ষ্যে তিনি পেয়েছেন বীর বিক্রম উপাধি। বর্তমান সময়ে তিনি রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি সরকারের সমালোচনা করে বেশ কিছু কথা তুলে ধরেছেন।
পবিত্র কুরআন শরিফের অবমাননা- এটা ইকবাল পাগলের কাজ নয়। এর সঙ্গে আরও বড় বড় পাগল জড়িত। হিন্দু বা মুসলমান বলেন- কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষই অন্য কোনো ধর্মের প্রতি এভাবে অবমাননা করতে পারে না। এর সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র জড়িত। কেউ কেউ নাকি বাংলাদেশ দখলেও ষড়যন্ত্র করছে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এলডিপির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির এসব কথা বলেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রতি কেউ কোনো রকমের চোখ দিলে সেই চোখ এদেশের জনগণ উঠিয়ে নেবে। কারণ রক্ত দিয়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা কারও বাপের দেওয়া সম্পত্তি নয়। আমার বয়স হয়েছে, কিন্তু মাথা এখনো ঠিক আছে। নিজে ব/ন্দু/ক চালাতে না পারলেও যারা চালাবে- তাদেরকে তো পরামর্শ দিতে পারব।
সরকারের উদ্দেশে কর্নেল অলি বলেন, জাতীয় সরকার ছাড়া এ জাতির মুক্তি নেই। এ দেশকে বাঁচাতে হলে, এদেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। তাই আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সরকার গঠন করুন। মানুষকে আল্লাহর গজব থেকে মুক্তি দিন। জাতীয় সরকার এসে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সমস্ত প্রতিষ্ঠান ঠিক করার পর নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে। এর মাধ্যমেই দেশে আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। অলি আহমদ বলেন, গত ১২ বছরে এ সরকারের আমলে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াত- তারাও আজ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এ সরকারের সময় আর বেশিদিন নেই। তাই দুদককে যতদ্রুত সম্ভব এসব দুর্নীতিবাজ লোকদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ভেঙে এখন মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। যার অর্ধেকই লু/ট/পা/ট হয়ে যাচ্ছে। আর খালেদা জিয়াকে বিনাকারণে জেলে পাঠিয়ে মৃ/ত্যু/র দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকারের উচিত এখনই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া।
কয়েকদিন আগে কুমিল্লায় এক অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ঐ ঘটনাকে ঘিরে হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একে অন্যের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দল গুলো একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করে তর্ক-বির্তকে লিপ্ত হচ্ছে। এমনকি এখনও ঐ ঘটনাকে ঘিরে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা।