গত ১৭ বছরে যারা একটি বালুর ট্রাকও সরাতে পারেনি, তারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশ পরিবর্তন করবে—এ ধরনের দাবি বাস্তবতার বাইরে। আওয়ামী লীগের বড় নেতারা পালিয়ে গেছে, আর যারা এই সময়ে দেশ শাসন করেছে, তারা লুটপাটে ব্যস্ত ছিল।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক গোমেতি সংবাদের যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, “যারা দীর্ঘ সময় ধরে লুটপাটে ব্যস্ত ছিল, তারা এখন আবার নতুন করে ক্ষমতায় আসতে চায়। ৫ আগস্টের আগে যারা ছাত্রদের সামনে ঠেলে দিয়েছে, এখন তারাই বলছে ঘরে ফিরে যেতে। এটি সহ্য করার মতো নয়।”
তারা আরও বলেন, “আমরা কখনো সীমান্তে কাউকে পার করানোর জন্য ঘুষ নেইনি। অথচ আপনারা তা করেছেন। এত বড় দল হয়েও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পালানো ঠেকাতে কিছুই করেননি। জনগণ এটি ভুলবে না।”
বক্তারা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “৭১ সালের শহীদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই ত্যাগকে পুঁজি করে ১৭ বছর ধরে লুটপাট করেছে। দেশের জনগণ এই বিজনেস মডেলকে আর সহ্য করবে না।”
গোমেতি সংবাদ-এর সম্পাদক মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মো. রাশেদুল ইসলাম, মুখপাত্র জাবেদ আহমেদ ভূঁইয়া, জেলা মুখপাত্র জাহিদুল উজ্জ্বল, মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব মেহেদী হাসান এবং সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী।