বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদকে বদলির সমালোচনা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ সমালোচনা করেন। এতে তিনি পুলিশকে মন্ত্রী এমপি পেটানোর ক্ষমতা দিতে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান।
ফেসবুক পোস্টে ডাকসুর সাবেক ভিপি লিখেছেন, “পুলিশ সদস্যদের অপরাধের শাস্তি কি শুধু বদলি? এজন্যই হয়তো রাষ্ট্রপতির এপিএসসহ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পিটাইছে কারণ সে জানে তার শাস্তি সর্বোচ্চ বদলি। আল্লাহ এদেরকে এমপি,মন্ত্রী পিটানোর তৌফিক দিক, পারলে তার উপরেরটাও।”
প্রসঙ্গত, শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদকে কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার তাকে ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে বদলি করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে সংযুক্ত করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্মম নি”র্যাতনের অভিযোগ ওঠে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
আহতদের সহপাঠী ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। এ সময় ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। মহিলা অফিসারের স্বামীও একজন বিএসই অফিসার। এ সময় তার সঙ্গে এডিসি হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘ”র্ষে রূপ নেয়। এ কারণে তাদের সঙ্গে থাকা দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মা”রধর করা হয়।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্ম”মভাবে মারধরের ঘটনায় ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা যে করেছে, সে পুলিশের হোক বা যেই হোক না কেন, অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। কেন করেছে, কি করেছে, আমরা জিজ্ঞাসা করবো। তার ভুল কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে জবাবদিহিতা করতে হবে।”
এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে।