বিমান হলো দেশ বা বিদেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণের জন্য খুব আরামদায়ক একটি বাহন। তাছাড়া বিমানে খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করা যায়। বিমানের ভিতরকার পরিবেশ খুব ভালো মানসম্পন্ন হয়ে থাকে। যাত্রী ও বিমানের ক্রুদের আচরণও হয়ে থাকে শালীন। সম্প্রতি জানা গেল এক যাত্রী ক্রমাগত অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকায় প্লেনটি গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই জরুরি অবতরণ করে।
যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। একজন যাত্রীর অস্বাভাবিক আচরণের কারণে লন্ডন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসগামী ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জরুরি অবতরণ করে। এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভার্জিন আটলান্টিক ফ্লাইট ১৪১ লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বিমানটির যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীদের মধ্যে একজন অনিয়মিত আচরণ করায় বিমানটি তার গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই জরুরি অবতরণ করে। এদিকে, ভার্জিন আটলান্টিকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমানটি সল্টলেক সিটিতে জরুরি অবতরণ করেছে। যে যাত্রী বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য করেছে তাকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে বিমানের ভেতরে আসলে কী ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে বিমানটি আবার উড্ডয়ন করে এবং লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রুটে জরুরি অবতরণের কারণে বিমানটি তার গন্তব্যে পৌঁছাতে চার ঘণ্টার বেশি সময় নেয়।
এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে বিমান সংস্থাটি। “আমাদের যাত্রী এবং ক্রুদের নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার,” একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে কোনো আপস নেই। আমরা সবসময় চাই আমাদের গ্রাহকরা আমাদের সাথে সেরা অভিজ্ঞতা লাভ করুক।
প্রসঙ্গত, আচরণেই মানুষের পরিচয়। আচরণ যদি খারাপ হয় তবে সেই মানুষের সম্পর্কে একটি খুব খারাপ ধারণা সৃষ্টি হয়। আকরো আচরণের কারণে কেউ যদি মনে কষ্ট পায় তাহলে বিষয়টি মেনে নেওয়ার মত না।